স্পোর্টস ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:৫০

ফ্লেচারের শতকে রানের পাহাড়ে সিলেট

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে পড়ে আছে সিলেট থান্ডার্স। এখনও জয়ের দেখা পায়নি তারা। ব্যাটিং-বোলিংয়ে এক সঙ্গে জ্বলে উঠতে পারেনি। তবে শনিবার বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে জয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছেন সিলেটের আন্দ্রে ফ্লেচার এবং জনসন চার্লস। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের অপরাজিত ১০৪ রান ও জনসন চার্লসের ৯০ এর অনবদ্য ইনিংদ্বয়ে ২৩২ রান সংগ্রহ করে সিলেট।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রামের জহুর চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ্য হয় সিলেট।

রবি ফ্রাইলিংকের প্রথম ওভারেই দুই চারে দারুণ শুরু করেছিল সিলেট। কিন্তু প্রথম ওভারের শেষ বলে ফ্রাইলিংকের বলে বোল্ড হয়ে যান মজিদ। এরপর চার্লস আর ফ্লেচার মিলে শুরু করেছেন আক্রমণ। ৪.২ ওভারে উঠে গেছে ৫০ রান, পাওয়ারপ্লেতে উঠেছে ৭২ রান। চার্লস ২৫ বলে পেয়েছেন ফিফটি, ফ্লেচারও ২৬ বলে পেয়েছেন ফিফটি।

এরপর দুজন আরও বেশি বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। খুলনার সব বোলারকেই কচুকাটা করছিলেন দুজন, জনসন একটু বেশিই বিধ্বংসী ছিলেন, ৩৭ বলেই পৌঁছে গিয়েছিলেন নব্বইয়ের ঘরে। তখনও সাত ওভারের বেশি বাকি। কিন্তু শহীদুলের বলে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন ৯০ রান, রিভিউটাও হারিয়েছেন। খানিক পরে সেই রিভিউ দরকার হয়েছিল সিলেটের, যখন মিঠুনকে ৩ রানে এলবিডব্লু দিয়ে দিয়েছেন আম্পাউয়ার। বল ব্যাটে লেগেছিল মিঠুনের, স্টাম্পেও ছিল না। কিন্তু রিভিউ নিতে পারেননি মিঠুন।

মোসাদ্দেক ১১ রান করে ফেলেছিলেন, কিন্তু রবিউলের বলে রুশোর দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরে গেছেন। ফ্লেচার ঝড় অবশ্য চলছিল এক দিক থেকে, দেহতে দেখতে পৌঁছে গেছেন নব্বইয়ের ঘরে। ১৯তম ওভারে গিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে পেয়েছেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, সেটি মাত্র ৫৩ বলে। একটা সময় মনে হচ্ছিল বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও নতুন করে লেখাবে সিলেট। সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি ২৩৯ রানের রেকর্ড আর ছোঁয়া হয়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত থেমেছে ২৩২ রানে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত