১০ মে, ২০২০ ২১:৩৮
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর সর্বশেষ আসরে সিলেট থান্ডার ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শাফিকুল্লাহ শাফাককে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
বিজ্ঞাপন
রোববার এই সাজা ঘোষণা করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসিবি জানায়, ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম আসর এবং ২০১৯-২০ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সব শেষ আসরে শাফাকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়। যার মধ্যে একটি ছিল সিলেট থান্ডারের হয়ে খেলার সময় ম্যাচ পাতানোর চেষ্টা করা। তদন্তের পর এসব অভিযোগের প্রমাণ পায় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এন্টি করাপশন ইউনিট।
আফগান প্রিমিয়ার লিগে সেপিন ঘার রিজিওন ও বিপিএলে সিলেট থান্ডারের হয়ে খেলেছিলেন শাফাক। দুটি টুর্নামেন্টে শাফাকের বিরুদ্ধে চারটি দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানায় এসিবি। নিজের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ শাফাক মেনেও নিয়েছেন।
বিপিএলে শাফাকের দল সিলেট থান্ডার ১২ ম্যাচের মধ্যে কেবল একটি ম্যাচেই জিততে পেরেছিল। দলটির একাধিক সন্দেহজনক আচরণ নিয়ে তখন খবর বেরিয়েছিল গণমাধ্যমে।
শাফাক যেসব ধারায় সাজা পেয়েছেন তাতে উল্লেখ আছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ খেলা, অন্যকে পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে খারাপ খেলতে প্রভাবিত করা বা প্রভাবিত করার চেষ্টা করা।’
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এন্টি করাপশন ইউনিটের সিনিয়র ম্যানেজার সাঈদ আনোয়ার শাহ বিবৃতিতে বলেন, ‘এটা গুরুতর অপরাধ, যেখানে একজন সিনিয়র খেলোয়াড় একটি হাই প্রোফাইল ঘরোয়া আসরে দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছেন। এছাড়া বিপিএল-২০১৯ মতো বিদেশী আসরেও একজন সতীর্থকে দুর্নীতির প্রস্তাব দিয়ে পরে ব্যর্থ হন।’
শাফাককে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে অন্যদেরও বার্তা দেওয়ার আভাস দেন সাঈদ, ‘এটা অন্য খেলোয়াড়দেরও সতর্কবার্তা। যারা কিনা মনে করেন তাদের অবৈধ কার্যক্রম এসিবি প্রকাশ করবে না। আমাদের অবস্থান তাদের ধারণার চেয়ে জোরালো।’
শুনানিতে শাফাক অপরাধ স্বীকার না করলে সাজার পরিমাণ আরও বেশি হত বলেও দুর্নীতি বিরোধী এই কর্মকর্তার মত।
আপনার মন্তব্য