নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

০১ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:১৩

নবীগঞ্জে আ.লীগ সম্পাদককে হত্যার হুমকির অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ব্যাপারে তিনি নবীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (নম্বর-১৭৬৬) করেছেন।

সাধারণ ডায়েরি তিনি উল্লেখ করেছেন, নবীগঞ্জ পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরী আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে উক্ত ওয়ার্ডে পুনরায় কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। সে নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। উক্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন বিচার প্রার্থী হওয়ায় অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করেন একই গ্রামের বাসিন্দা নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী। এতে কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ১.২৬ মিনিটে নবীগঞ্জ পৌরসভাধীন হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জায়েদ চৌধুরী ৬/৭ জনকে নিয়ে মিটিং করে প্রস্তুতি নেয় আগামী পৌরসভা নির্বাচনের আগে/পরে সাইফুল জাহানের ওপর আক্রমন করবে। চরগাঁও ভোট কেন্দ্রে তার নির্দেশে ভোট চলবে। এর ব্যতিক্রম হলে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্্েরটের নির্দেশে যেভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে সেভাবে সাইফুল জাহান চৌধুরী ও তার পরিবারের লোকজন ভোটের দিন কোনো প্রকার নড়াচড়া করলে গুলি করে হত্যা করবে বলে পরিকল্পনা করে। জায়েদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার মোবাইল ফোনে অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে যায়। এ অডিও এখন নবীগঞ্জের সাধারণ মানুষের অনেকের মোবাইল ফোনে দেখা যাচ্ছে। এমনকি অডিও রেকর্ডটি সংরক্ষিত রয়েছে সাইফুল জাহান চৌধুরীর মোবাইল ফোনে।

জিডিতে আরো উল্লেখ করা হয়, উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং শেষে হলরুম থেকে বের হওয়ার পথে আজ থেকে দশ বছর পূর্বে হত্যার উদ্দেশ্যে জায়েদ আক্রমণ করেছিল। খবরটি নবীগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লে শহরের উত্তেজিত জনতা তার উপর ক্ষিপ্ত হলে, সে পালিয়ে সুইপার কলোনীতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ তাকে সুইপার কলোনী থেকে থানা হাজতে নিয়ে আটক করে। গভীর রাতে জায়েদ সাইফুল জাহানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে ভাল হয়ে চলবে বলে মুছলেকা দিয়ে থানা হাজত থেকে ছাড়া পায়।

সাইফুল জাহান চৌধুরী জানান, কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরীর এমন হত্যার পরিকল্পনায় ও হত্যার হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আইনশৃংখলা বাহীনির নিকট জোর দাবি জানান। ঘটনাটি তিনি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছেন।

অডিও রের্কড ফাঁস হওয়ায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘জিডি হয়েছে। জিডির প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে।’

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত