আবুল হোসাইন,দিরাই

১২ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:১৯

দিরাই-শাল্লায় মওসুমের শুরুতে সার ও বীজ সঙ্কট

চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লায় চাহিদা অনুযায়ী সার ও বীজের বরাদ্দ দেয়া হয়নি।এতে মওসুমের শুরুতে দুই উপজেলার বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বলেছেন বরাদ্দ না বাড়ালে সার ও বীজের সঙ্কটে চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে।

 দিরাই-শাল্লা দুই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,সরকারি ভাবে বোরো চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা না হলেও অর্ধ লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হতে পারে।এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল(উফশী),১০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও দুই হাজার হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষের সম্ভাবনা রয়েছে।এসব জমিতে চারা রোপণের জন্য দুই হাজার ৪৫০ হেক্টর বীজতলায় বোরো ধান বীজের প্রয়োজন ১হাজার ৬শ মেট্রিক টন। বিএডিসি নিযুক্ত ২৯ জন ডিলারের নামে এ পর্যন্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪শ ৭৪ মেট্রিক টন বীজ।

দিরাই উপজেলায় সারের চাহিদা দেয়া হয়েছিল ছয় হাজার ৫০০টন।এর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই হাজার ১২০ টন। শাল্লা উপজেলায় সারের চাহিদা দেয়া হয়েছিল চার হাজার ৫০০ টন,বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার ৮৫২টন।দিরাই-শাল্লায় ২৭টি হাওরে ইতোমধ্যে বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা।চারা রোপণের জন্য বিএডিসি নিযুক্ত ডিলারের কাছ থেকে ধানবীজ সংগ্রহ শুরু হয়েছে।এ পর্যন্ত দুই শতাধিক টন বীজধান কৃষকের হাতে নির্ধারিত মূল্যে তুলে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ডিলারেরা।তবে কৃষকদের অভিযোগ বিআর-২৯ জাতের বীজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার ডিলারের কাছে সে বীজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এর সাথে বিআর-২৮ নিতে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে।দিরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন,এক হাজার মেট্্িরক টন চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৩৪৪ টন ধানবীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং সারের ৫ হাজার ৬০০ টন চাহিদার বিপরীতে ৩ হাজার ১শ মেট্রিক টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শাল্লা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম বদরুল হক জানান,৬০০ টন চাহিদার বিপরীতে ১৩০ মেট্রিক টন ধানবীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সার ৫ হাজার ৬শ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৩০ মেট্রিক টন।

 দুই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, বীজধানের কম বরাদ্দে সমস্যা না হলে ও সার সঙ্কটে বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।তবে আরো অতিরিক্ত সার জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। এ দিকে হাওরপারের কৃষকেরা প্রতিদিনই ডিলারের কাছে বীজ নিতে এসে চাহিদামত বীজ না পাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।  কৃষকেরা জানান প্রতি  বছর বিএডিসির বীজের ডিলারগন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সঙ্কট তেরী করে,বাধ্য হয়ে প্রাইভেট কোম্পানির চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে বীজ কিনে প্রতারিত হতে হয়। মওসুমের শুরুতেই সার ও বীজের তীব্র সঙ্কটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে কৃষকদের চাহিদানুযায়ী সার বীজ বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।










আপনার মন্তব্য

আলোচিত