বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০১ মে, ২০২১ ২১:৫০

বিশ্বনাথে প্রবাসীর গুলিতে স্কুলছাত্র নিহত

সিলেটের বিশ্বনাথে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলমের গুলিতে সুমেল মিয়া (১৮) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। সে উপজেলার চৈতন নগর গ্রামের আব্দুল মানিকের ছেলে ও স্থানীয় শাহজালাল ঘাগুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।

শনিবার (১ মে) বিকেল ৩টারদিকে চাউলধনী হাওর পাড়ের চৈতন-নগর গ্রামের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন সুমেলের পিতা আব্দুল মানিক (৫০), চাচা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনির মিয়া (৪৫) ও চাচাতো ভাই সালেহ আহমদ (৩০)। তাদের তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রতিপক্ষ প্রবাসী সাইফুল আলম চৈতন্নগরের পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর ছেলে ও চাউলধনী হাওরের ইজারাদার দশঘর মৎস্যজীবী সমিতির ফাউন্ডার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চাউলধনী হাওরের পাড় দিয়ে চৈতন্নগর ও ইসলামপুরের পাশ দিয়ে ছাতকের লামা টুকেরবাজার পর্যন্ত সরু একটি কাচা সড়ক রয়েছে। চৈতন্নগর থেকে নিজবাড়ি পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য ওই সড়কটি মাটি দিয়ে নিজ উদ্যোগে বড় করছেন সাইফুল আলম। শনিবার চৈতন্নগরের নজির আহমদের কৃষি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি তুলে সড়কে দিচ্ছিলেন তিনি। এসময় জমি থেকে মাটি তুলতে বাঁধা দেন নজির আহমদের ছোটভাই মনির মিয়া, আব্দুল মানিক ও ভাতিজা সুমেল মিয়া। আর এতে হাতাহাতির একপর্যায়ে বন্ধুক ও পিস্তল দিয়ে গুলি করেন সাইফুল আলম।

এসময় পিতা-পুত্র ও ভাতিজাসহ একই পরিবারের ৪জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে সন্ধ্যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমেলকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে সাইফুল আলম পলাতক রয়েছেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় সিলেটের ওসমানী নগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, থানার ওসি শামীম মুসা, তদন্ত ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নজির আহমদসহ চৈতন নগরের শতাধিক প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, জোরপূর্বক মাটি কাটায় বাঁধা দেওয়ায় সাইফুল তার ভাই নজরুল আলম নজ্জু, লুৎফুর রহমান, ময়ূর মিয়াসহ ১০/১২জনকে নিয়ে হামলা চালান। এসময় সাইফুল তার সঙ্গে থাকা বন্ধুক ও পিস্তল দিয়ে গুলি করেন। এতে স্কুলছাত্র সুমেল নিহত ও একই পরিবারের ৪জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

তবে, মুঠোফোনে জানতে চাইলে গুলির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাইফুল আলম। তিনি বলেন, তিনি কোন গুলি করেননি। আর ঘটনাস্থল থেকে তার বাড়িও অনেক দূরে। এখানে মারামারি হয়েছে।

ঘটনাস্থলে আছেন জানিয়ে বিশ^নাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত