০২ মে, ২০২১ ১৪:৪৮
রোববার সেহরির সময় সাদিয়া বেগমের চাচাতো ভাই মারা গেছেন। জৈন্তাপুরের দরবস্ত এলাকায় বাড়ি। এই খবর পেয়ে রোববার ভোরেই পরিবারের আরও ৬ সদস্যকে নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের মরদেহ দেখতে রওয়ানা দেন সাদিয়া।
তবে ভাইয়ের লাশ আর দেখা হয়নি তার। বরং সড়কে লাশ হয়ে গেছেন নিজেরাই। রোববার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন সাদিয়াসহ তার পরিবারের ৪ সদস্য। তাদের বাড়ি উপজেলার রূপচেঙ গ্রামে। এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন অটোরিকশা চালকও।
রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জৈন্তাপুরের ফেরিঘাট এলাকায় সিলেট-তামাবিল সড়কে অটোরিকশাকে ট্রাক চাপা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জৈন্তাপুরের রূপচেঙ গ্রামের সাদিয়া বেগম (৩৫), তার চার মাসের শিশু সন্তান শাহাদত হোসেন, মেয়ে সাবিয়া বেগম (৭), সাদিয়া বেগমের ননদ হাবিবুন্নেছা (৩৩) ও উপজেলার পাখিবিল গ্রামের অটোরিকশা চালক হোসেন আহমদ (৩৫)।
দুর্ঘটনায় আহত হন নিহত সাদিয়া বেগমের ভাসুর মো. জাকারিয়া (৫০) ও ভাসুরের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪০)।
রোববার সকালে হতাহতদের নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে এসেছিলেন জাকারিয়া আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এক আত্মীয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সবাই অটোরিকশাযোগে দরবস্ত জাচ্ছিলেন। ফেরিঘাট এলাকায় অটোরিকশাটি মহাসড়কে উঠার সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা ধুমড়ে মুছড়ে যায়।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দস্তগীর আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত হন ও একজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে নিহত হন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে নিহত হওয়ার ৪ জনের মরদেহ পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানান ওসি।
আপনার মন্তব্য