তাহিরপুর প্রতিনিধি

০৭ মে, ২০২১ ১৯:৩৭

করোনা: তাহিরপুরে চার মাসে একজনেরও নমুনা সংগ্রহ হয়নি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার মাস ধরে করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য একটি নমুনাও। এই সময়ে কেউ নমুনা জমা দিতেও আসেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার নমুনা সংগ্রহের পর্যাপ্ত কিট ও জনবল আছে। কিন্তু গত প্রায় চার মাস ধরে উপজেলায় করোনার নমুনা দিতে আগ্রহ দেখায় নি কেউ। তবে করোনা টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

জানা যায়, গত বছরের ৫মে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ঢাকা ও গাজীপুর ফেরত তিন পুরুষ এবং তিন নারী পোশাককর্মীর মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর উপজেলা জুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দিতে শুরু করলে বাড়তে থাকে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। শনাক্তদের আইসোলেশেন রাখাসহ করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

তবে এখন সামাজিক ভাবে হেয়পতিপন্ন হওয়ার আশংকায় করোনার নমুনা দিতে অনাগ্রহি উপজেলার মানুষজন। ফলে গত ৪মাস ধরে করোনা কোন পরীক্ষা হয়নি।

কোভিড-১৯ সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, এ উপজেলা থেকে পরীক্ষা হওয়া মোট নমুনার দিয়েছেন ৫৪১জন। এর মধ্য থেকে ৫২৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ জন। ৫৫ জনই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত ১জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার বাসিন্দারা জানান, দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাস শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাঝেও তেমন কোন আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় নি করোনা নিয়ে প্রচার প্রচারনায়। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউনের কার্যকরে কঠোর প্রদক্ষেপ না নেয়ায় স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে অবাদে চলাচল করায় এ উপজেলার লোকজন এখন আর মানতেও নারাজ করোনা আছে বলে।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এ কে এম নজরুল ইসলাম জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে কেউ আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না। নতুন করে নমুনা দিতে না এলেও করোনা টিকার প্রথম ডোজ যাদেরকে দেওয়া হয়েছিল চলতি মাসের ১৮তারিখ থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের কার্যক্রম শুরু হবে।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, উপজেলায় টেস্টের জন্য পর্যাপ্ত কিট,জনবল রয়েছে। এছাড়াও প্রচার প্রচারনা আছে এরপরও লোকজন আগের মত আগ্রহ না দেখানোয় উপজেলায় করোনার নমুনা পরীক্ষা এক বেরেই শূন্য। এদিকে করোনা টিকা নেয়ার আগ্রহীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্প্রসারনের জন্য বাদাঘাট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সাপ্তাহের প্রতি রবিবার টিকাদান কর্মসূচি চলছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত