নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ মে, ২০২১ ১৪:১৬

সিলেটে ২ দিনের মধ্যে শেষ হবে টিকার মজুদ

সিলেটে শেষ হয়ে আসছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার নির্মিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন-কোভিশিল্ডের মজুদ। এর ফলে নগরীতে ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ পেয়েছেন এমন প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে নতুনভাবে ভ্যাকসিনের চালান না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে।

গতকাল রোববার (৯ মে) পর্যন্ত সিলেট নগরে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে মোট ৫৯ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সিলেট নগরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন-কোভিশিল্ডের মজুদ রয়েছে প্রায় ২ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন। যাদের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে তাদের সবার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে সিলেট নগরে আরও ১৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে।

সিলেট নগরে টিকা প্রদানের প্রতিদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন ১ হাজার থেকে দেড় হাজারের বেশি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ রোববার সিলেট নগরে দেয়া হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ জনকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই হারে টিকা দেওয়া চললে আগামী ২ দিনের মধ্যে মজুদ শেষ হয়ে যাবে। এর অর্থ দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পাবেন না প্রায় ১৫ হাজার জন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, যদি প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তাহলে আগামী ২ দিনের মধ্যে মজুদ শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া গতকাল টিকা কেন্দ্রে উপস্থিত সকল গ্রহীতাকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। তাই দেশে নতুন করে টিকা না আসা পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের জন্য নিবন্ধিতদের অপেক্ষমাণ থাকতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, একটি ভায়ালে ১০টি করে ডোজ থাকে। সে হিসেবে যে পরিমাণ টিকা মজুদ রয়েছে তাতে করে সিলেট নগরে আর মাত্র ২ হাজার জনকে টিকা দেওয়া যাবে। পুনরায় ভ্যাকসিনের চালান না আসা পর্যন্ত প্রথম ডোজ নেয়া প্রায় ১৩ হাজার জনকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষমাণ থাকতে হবে।

এদিকে সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, সিলেট জেলায় আরও সাত হাজার ডোজ ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে। তা দিয়ে ঈদের আগে পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া যাবে। তবে পুনরায় ভ্যাকসিনের চালান না আসা পর্যন্ত সিলেটে কি পরিমাণ লোককে দ্বিতীয় ডোজের টিকার জন্য অপেক্ষমাণ থাকতে হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, করোনা প্রতিরোধি টিকার সংকটের কারণে গত ২৬ এপ্রিল ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়। বাংলাদেশে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট গত মার্চে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটির চালান বন্ধ করে দেয়। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি থেকে মাত্র দুই চালান ভ্যাকসিন দেশে এসেছিলো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত