মৌলভীবাজার-৩ আসনের উপ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন সদ্য প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর স্ত্রী সায়রা মহসীন।

শূন্য ঘোষিত এ আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

ফলে একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) মৌলভীবাজার নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক বিষয়টি  সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোননয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট-বিএনএফ প্রার্থী মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, জাতীয় পার্টি প্রার্থী (এরশাদ) সৈয়দ নুরুল হক, স্বতন্ত্র প্রাথী সোহেল আহমদ ও খোরশেদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে সহকারী রিটানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ খুরশীদ ও সুহেল আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী আইন মোতাবেক দেয়া নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের মধ্যে কমিশনের নির্ধারিত ১০ জনের স্বাক্ষর সঠিক পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সমর্থিত প্রার্থী সৈয়দ নুরুল হকের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে বিধান অনুযায়ী চেয়ারম্যান, মহাসচিব অথবা সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর করা মনোনয়নের স্বপক্ষে লিখিত কাগজপত্র পাওয়া যায়নি ।

আর বাংলাদেশ ন্যাশন্যালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) প্রার্থী আশরাফ হোসেন নিজে ছিলেন অনুপস্থিত। এ সময় তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থকরা উপস্থিত হয়ে হলফনামা দিয়ে বলেছেন তারা কোনো দল করেন না এবং কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রস্তাব বা সমর্থন করেননি। ফলে সরকারি কৌঁশুলিদের উপস্থিতিতে ও লিখিত মতামতের ভিত্তিতে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়, বলেন সহকারী রিটানিং অফিসার।

শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সৈয়দা সায়রা মহসীনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে মৌলভীবাজার নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন বিধি অনুযায়ী ২২ নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওদিন বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হবে।

৮ ডিসেম্বর সৈয়দ মহসীন আলীর শূন্য আসনে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

উল্লেখ্য, ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। তার মৃত্যুর পর নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।