বড়লেখা প্রতিনিধি:

১২ জানুয়ারি, ২০২২ ০২:২০

বড়লেখায় সাবেক সাংসদ সিরাজুল ইসলাম স্মরণে নাগরিক শোকসভা

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম একজন কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন। সাবেক এই সাংসদের স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, ‘তার মৃত্যুতে বড়লেখার রাজনৈতিক অঙ্গনে শূন্যতা তৈরি হয়েছে।’

গত রোববার (৯ জানুয়ারি) রাতে বড়লেখা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এ শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভার পানিধার এলাকায় আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ ছয়েফ আহমদ।

এতে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, প্রয়াত সাংসদের ছেলে আনিছুল ইসলাম শুভ, পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিবেকানন্দ দাস নান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলী আহমদ চৌধুরী জাহেদ, বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোপাল দত্ত, তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান, ইউকে বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আহমদ চৌধুরী, নিজবাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ছালেহ্ আহমদ জুয়েল, মাওলানা খয়রুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আছকির আলী, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মানিক, কাউন্সিলর জাহিদ হাসান, তরুণ সমাজসেবক জাকির হোসেন ও নাহিদ আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

সিরাজুল ইসলাম ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান। তিনি ১৯৪৩ সালে বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের টেকাহালি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষকতা দিয়ে পেশা জীবন শুরু করেন। ষাটের দশকে তিনি বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬৩ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধরণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২ সালে মৌলভীবাজার মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে পর পর দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আমেরিকায় পাড়ি দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত