আমীর হামজা, হবিগঞ্জ:

১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:৫৫

নামফলক নিয়ে সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব

সাংসদ শাহ নওয়াজ মিলাদ গাজী ও বাহুবল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের নামফলক বসানো নিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সাংসদ শাহ নওয়াজ মিলাদ গাজী এবং বাহুবল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছে।

তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি)। এদিন বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন বাহুবল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, গত ৩ বছরে সাংসদ বাহুবল উপজেলায় কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন করেনি। তবে যেসকল কাজ (উপজেলা পরিষদের) হয়েছে সবগুলোতে তার (সাংসদের) নামফলক লাগানো নিয়ে চাপ প্রয়োগ করেন। নাম ফলক না লাগালে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করেন।

তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগ নাকচ করে সাংসদ মিলাদ গাজী দাবি করেছেন, যে কাজগুলো হচ্ছে; সেগুলো তার নিজের। এগুলোই এখন চলমান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বাহুবল উপজেলার কটিয়াদি বাজারে ফিসসেড নির্মাণের জন্য প্রক্রিয়াধীন প্রকল্প এলাকায় তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যান। সেখানে যাওয়ার পরে প্রকৌশলীকে সাংসদের পিএস সোহাইল আহমেদ ফোন দেন। পিএস প্রকৌশলীকে উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে যেতে নিষেধ করেন এবং বিভিন্ন কথা বলেন।’ ‘পিএস একপর্যায়ে বলেন, ওই প্রকল্পটি বাদ দিয়ে দিতে বলেছেন এমপি।’

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এর আগেও এমপি সাহেব আমার অন্যান্য প্রকল্পের কাজ শেষ করার সাথে সাথে তিনি তার পিএস ও নেতাকর্মীদের দিয়ে তার নামফলক লাগিয়ে দেন।’

‘‘ইতিপূর্বে বাহুবলের করাঙ্গী নদীর ওপর ভেড়া খালের একটি ব্রিজ নির্মাণ করেছি। সেটিরও কাজ শেষ হতে না হতেই তিনি তার নামফলক লাগিয়ে দিয়েছেন।’’

লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান সাংসদ মিলাদ গাজীর ৩ বছরে বাহুবলের কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন করেননি অভিযোগ করে বলেন, আমার এখন পর্যন্ত ২৭টি রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি (এমপি) এখন পর্যন্ত কয়টি কাজ করেছেন?

এবিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সাংসদের পিএস সোহাইল আহমেদ বলেন, ‘আমি কোনো নিষেধ করিনি। এছাড়া এমপি সাহেবের যে কাজ গুলো হয় আমি সেগুলোর নামফলকই লাগাই।’

নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সাংসদ শাহ নওয়াজ গাজী মিলাদ বলেন, ‘এমপির ডিও লেটার ছাড়া কোনো প্রকল্প হয় না। তিনি অহেতুক কথা বলেছেন। আমি কাজ করিয়ে আমার নামফলক লাগাই।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত