বড়লেখা প্রতিনিধি:

১০ মে, ২০২২ ২২:০৯

গ্রেপ্তার এড়াতে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন হত্যা মামলার আসামি সাইফুল

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যা মামলায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম সাইফুল ইসলাম (৩২)। তিনি বড়লেখা সদর ইউপির কেছরিগুল এলাকার সজ্জাদ আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (১০ মে) ভোর ছয়টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সাইফুল ইসলাম রুবেল হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) হাবিবুর রহমান (পিপিএম) এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার (১০ মে) ভোর ছয়টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) হাবিবুর রহমান পিপিএম মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, রুবেল হত্যা মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এ মামলায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, গত ০৮ এপ্রিল জুমার নামাজের সময় বড়লেখা সদর ইউপির কেছরিগুল জামে মসজিদের ইমামকে নিয়ে কেছরিগুল এলাকার জামাল আহমদের সঙ্গে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সরফ উদ্দিন নবাবের কথা কাটাকাটি হয়। পরে এলাকার লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন। আসরের নামাজের সময় জামাল আহমদের ছেলে ও ভাতিজাদের সঙ্গে সদর ইউপির বর্তমান মেম্বার সাবুল আহমদের ভাই সাবেক মেম্বার সরফ উদ্দিন নবাবের ছেলে ও ভাতিজাদের ঝগড়া হয়।

ঘটনার সময় রুবেল আহমদ কাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় তাকে (রুবেলকে) জামাল আহমদের পক্ষের লোক ভেবে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই সরফ উদ্দিন নবাব গংরা। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে রুবেল গুরুতর আহত হন। রুবেলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই সুমন আহমদও আহত হন। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রুবেল সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিনের ছেলে। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতেই নিহত রুবেলের ছোট ভাই ফয়ছল আহমদ বাদি হয়ে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই সাবেক মেম্বার সরফ উদ্দিন নবাবসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত