কানাইঘাট প্রতিনিধি

১৭ মে, ২০২২ ২৩:৪৪

কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নৌকাডুবে নিখোঁজ ১

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। উপজেলা ও পৌর এলাকা থেকে শুরু করে ৯টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
 
মঙ্গলবার কানাইঘাট সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৪৪ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কানাইঘাট বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে হাটু পানি থেকে কোমর পানি বিরাজ করায় অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এখনো বানের পানি বিরাজ করছে। কানাইঘাট-দরবস্ত, গাজী বোরহান উদ্দিন রোডের নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সিলেট শহরের সাথে কানাইঘাট সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পরিবহনের অভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে ও সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার বাড়ী ঘর এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধী মানবেতর জীবন যাপন পার করছেন।

উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোন ধরনের ত্রান সামগ্রী তারা পাচ্ছেন না। গ্রামীন এলাকার সমস্ত পাকা, কাচা রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় লোকজন ঘর থেকে বাহির হতে পারছেন না।

গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মমতাজগঞ্জ বাজারের পাশে সুরমা নদীতে নৌকা ডুবে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির নক্তিপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের পুত্র ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান (৫০) নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। ১৭টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন উচু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানিবন্ধী প্রায় ২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

উপজেলার ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে বলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। কৃষি, মৎস্য সেক্টরের বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভারি বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করায় দিন দিন কানাইঘাটের বন্যা পরিস্থিতি যে ভাবে অবনতি হচ্ছে তা আরো কয়েকদিন বিরাজ করলে গোটা উপজেলায় ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দিবে বলে সচেতন মহল জানিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত