বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

২৪ মে, ২০২৩ ২১:৪৫

জামিন না মঞ্জুর, বিশ্বনাথের কৃষকলীগ নেতা কাহার জেলে

মারামারি মামলায় সিলেট আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন চাইলে নামঞ্জুর করেন আব্দুল কাহার (৩০) নামের এক কৃষকলীগ নেতাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার চৌধুরী গাঁওয়ের মহরম আলীর ছেলে ও উপজেলা কৃষকলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক।

গত মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে হাজিরা দিয়ে মারামারি মামলায় জামিন প্রার্থনা করেন কৃষকলীগ নেতা আব্দুল কাহার। এসময় ওই আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বুধবার (২৪ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী ও আব্দুল কাহারের ছোটভাই মো. আব্দুল জাহিদ। তারা জানান, মঙ্গলবার হাজিরা দিয়ে জামিন চাইলে তা মঞ্জুর না করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।

আব্দুল জাহিদ বলেন, ২০১৯ইং সালের ২৬জুন তার ভাই কাহারের বিরুদ্ধে প্রথমে একটি ধর্ষণ মামলা করেন মারামারি মামলার বাদী আম্বিয়া বেগম, মামলা নং ২৬/২০১৯)। ডিএনএ টেস্টের আলোকে তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তারা ওই মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলে বারবার বাদী নারাজি দিয়ে হয়রানি করান। ফাঁসাতে পারবেনা বুঝতে পেরে ইট ভাটা মালিক ও সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক ও তার ভাতিজা মনিরুজ্জামানের পরামর্শে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই তারা ৩ ভাইকে অভিযুক্ত করে আরও একটি মিথ্যা মারামারি মামলা দায়ের করেন আম্বিয়া বেগম, (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৪২২/২২ইং)।
 
তদন্তে সত্যতা না পেয়ে ৫ মাসের মাথায় ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর ওই মামলার বাদী আম্বিয়া বেগমের বিরুদ্ধে ২১১ধারায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই আমিরুল ইসলাম। এরপর নারাজি দিলে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান বিশ্বনাথ থানার বর্তমান তদন্ত (ওসি) আব্দুস সালাম।

তবে, জাহিদের দাবি, ওসি তদন্ত তার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ফায়দা নিয়ে চলতি ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন। আর ওই মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিন চাইলে তার ভাইকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

ধর্ষণ ও মারামারি মামলার সঙ্গে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হকের ভাতিজা মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করর উদ্দেশ্যেই তাদের নাম বার বার আনা হচ্ছে।

বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত আব্দুস সালাম জানান, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েই তিনি মারামারি মামলায় চার্জশিট দিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত