রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর

১৪ মার্চ, ২০২৪ ২৩:০১

জগন্নাথপুরের চিলাউড়া সড়কের বেহাল দশা

দীর্ঘদিন ধরে পাশ ধসে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়ার সড়ক। রয়েছে খানাখন্দ। যেকারণে এই রাস্তা দিয়ে চলে না জরুরি সেবার কোনো গাড়ি। এমনকি শ্মশান বা গোরস্থানে যেতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও বিড়ম্বনার শেষ নেই। ঘটছে দুর্ঘটনাও।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটির বেশিরভাগ জায়গায় খানাখন্দ। উঠে গেছে সড়কের ইট-সুরকি। অনেক জায়গায় ধসে গেছে রাস্তার দুইপাশ। আর বর্ষার দিনে বড় ধরণের ভোগান্তিতে পড়েন রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকাবাসী সবাই মিলে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার, প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কেউ কোনো কাজ করেননি।

জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর আর তাদের দেখা মেলে না। তাই ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান বলেন, চিলাউড়ার রাস্তাটি ভেঙে গেছে। প্রতিনিয়ত ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তাটি নির্মাণ করা জরুরি।

সাবেক চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে জগন্নাথপুর শহরে যেতে হয়। শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। জরুরি সেবার কোনো গাড়ি বা যেকোনো গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। হিন্দু বা মুসলিম কেউ মারা গেলে কাদার কারণে সৎকার, দাফন-কাফনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। অতি প্রাচীন রাস্তাটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি।

ওই এলাকার বাসিন্দা গুপি দাস বলেন, সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটি ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের চলাচলে এই পাকা সড়কটি নির্মাণের দাবি।

এ বিষয়ে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘রাস্তাটি পাকাকরণে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো। আমরা রাস্তা পাকা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত