শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

২৫ মার্চ, ২০২৪ ১৯:২১

বর্ণিল দোল উৎসব

পূজা অর্চনা, নগর কীর্তন, নাচ, গান আর রঙ খেলার মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয়েছে দোল উৎসব।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে উপজেলার সবুজবাগ এলাকার সার্বজনীন শ্মশানঘাট সংলগ্ন মাঠে সবুজবাগ সার্বজনীন দোল উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এ দোল উৎসবে নানা বয়সের মানুষের আগমনে এক উৎসবমুখর পরিবেশের তৈরী হয়।

সরেজমিনে দোল উৎসবে গিয়ে দেখা যায়, একটি মাঠে সাজনো রয়েছে প্যান্ডেল। প্যান্ডেলের একপাশে রাধাকৃষ্ণের প্রতিমা স্থাপন করে পূজা অর্চনা করা হচ্ছে। অপর পাশে রঙ খেলছেন এখানে আসা সনাতন ধর্মালম্বীরা। এদের মধ্যে বেশীরভাগই তরুন তরুনী। নানা রঙের কাপড় পরে এসে মুখমন্ডলে রঙ মাখিয়ে নাচছেন সবাই। হচ্ছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কাঠিনৃত্য, ধামাইল নৃত্যও। রঙ খেলার উচ্ছ্বাসে সেখানে মেতে উঠেছেন সবাই। গালে রঙ মাখিয়ে ছবি তুলতে দেখা গেছে অনেককেই। সেখানে একে অন্যের গায়ে রঙ লাগিয়ে দোল উৎসবের সূচনার পর দুপুরে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন দর্শকরা। এর আগে পুরো সবুজবাগ এলাকায় নগরকীর্তন করেন ভক্তরা।

সবুজবাগ সার্বজনীন দোল উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্বোধক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য পিয়াস দাশ বলেন, গত চার বছর ধরে আমরা সবুজবাগ এলাকায় এই দোল উৎসব আয়োজন করে আসছি। এখানে পূজাঅর্চনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রঙ খেলা হয়। সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে এই দোল উৎসব উদযাপন করেছে।

জানা যায়, দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফালগুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনূষ্ঠিত হয়। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপিনীর সঙ্গে রঙ খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তন গান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এর পর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রঙ খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত