শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি

০২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:০৭

শান্তিগঞ্জে ঘোড়ার লাথিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ২, আহত ৭

শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ছয় বছরের শিশুকে ঘোড়ায় লাথি মারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ২ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে দু’পক্ষের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের আশিক আলী ও শের আলী পক্ষের লোকদের মধ্যে।

নিহত দু’জন হলেন- আশিক আলীর পক্ষের মৃত রহিম আলীর ছেলে, পাটলী দারুল উলূম টাইটেল মাদ্রাসার ফজিলত প্রথম বর্ষের ছাত্র নূর মোহাম্মদ (২২) ও শের আলীর পক্ষের মৃত নইম উল্লাহ’র ছেলে আবদুল আউয়াল (৫৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৯টায় শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের আশিম আলীর বাড়ির সামনে একটি গৃহপালিত ঘোড়া বেঁধে রাখেন শের আলী। সেই ঘোড়া আশিক আলীর ছেলে ফরিদ মিয়াকে (৬) লাথি মারলে আঘাতপ্রাপ্ত হয় শিশু ফরিদ। তার বাড়ির সামনে ঘোড়া বেঁধে রাখার কারণ জানতে চান ফরিদ আলীর ভাই সাহার আলী। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাহার আলীকে মারধর করেন শের আলী পক্ষের লোকজন।

এ ঘটনার জেরে রাতেই দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ। একপক্ষ আরেক পক্ষের ঘরবাড়িতেও আক্রমণ চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে আনুমানিক ৯ থেকে ১০ জন লোক আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে নূর মোহাম্মদকে গুরুতর অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান সুনামগঞ্জের ডাক্তাররা। পথিমধ্যেই মারা যান তিনি।
অপরদিকে, শের আলী পক্ষের আবদুল আউয়াল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মোক্তাদির হোসেন বলেন, দু'পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়েছি। ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এখনো পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত