বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:

০৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৪৯

লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে দর্জিরা

সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরে ঈদের বাজার এখন জমজমাট। পবিত্র মাহে রমজানের শেষ সপ্তাহে ঈদের কেনাকাটায় বিপণী বিতানসহ সব মার্কেটে ক্রেতাদের ভীড় জমে ওঠেছে। ঈদ এলে ব্যস্ততা বাড়ে দর্জিদের। তবে ঈদের আগেই কয়েকদিন ধরে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বিপাকে দর্জিরা।

প্রযুক্তির উন্নয়ন উদ্ভাবনের জন্য কর্মক্ষেত্র এখন আধুনিকতার তাল মিলিয়ে চলছে। দর্জি দোকানে সংগ্রহ করেছে স্মার্ট মেশিন। যার ফলে অল্প সময়ে বেশ কাজ নিখুঁতভাবে করা যায়। ঈদের সময় আসলে দোকান গুলোতে তুলনামূলক বেশ কাজের ব্যস্ততা বাড়ে। তাই নতুন মেশিন ও অনেক কর্মচারী নিযুক্ত করা হয়। তবে বিদ্যুৎহীনতায় এসব দোকানে অনেক ক্ষতি শঙ্কা অনেকের।

পৌর শহরের দক্ষিণ বাজারের নাদিয়া টেইলর্সের স্বত্বাধিকারী কাউসার হোসেনসহ কয়েকজন দর্জি জানান, বছরের দুটি ঈদেই ব্যস্ততা বাড়ে তাদের। অন্য সময়ের তুলনায় ঈদের আগে শার্ট, প্যান্ট মেয়েদের থ্রি-পিসসহ নানা ধরনের পোশাক সেলাইয়ের কাজ আসে দোকানে। টেইলার্সগুলোতে পাওয়ার মেশিনে কাজ করায় বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

তিনি জানান, গত ঈদে  দৈনিক ২ থেকে ৩০০ কাপড় সেলাই করতাম। এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তার অর্ধেকও সম্ভব হচ্ছে না। চরম হতাশায় ভুগছি।

শহরের বেশ কয়েকটি দর্জি দোকান ঘুরে দেখা যায়, দোকানের দর্জি শ্রমিকরা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বেকার সময় পার করছেন। তাঁরা দুশ্চিন্তার ছাপ নিয়ে বিদ্যুৎ আসার পহর গুণছেন।

আল বারাকা টেইলার্সের শাহেদ আহমদ বলেন, ঈদের বাজারে অতিরিক্ত মানুষ নিয়ে আসছিলাম বেশি কাজ করার জন্য। কিন্তু এখন দেখছি কাজের এই মন্দা পরিবেশে কিভাবে কর্মচারীদের মজুরি দিবো। মাথা অনেক টেনশন কাজ করছে।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বিয়ানীবাজার জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ভজন কুমার বর্মন জানান, আশা করা যাচ্ছে ঈদের আগেই লোডশেডিংয়ের এ সমস্যা সমাধান হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত