
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৩৮
সিলেটে চা বাগানের ভূমিতে অবৈধভাবে প্লট করে আবাসন বাণিজ্য বন্ধে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। জেলার খাদিমনগর চা-বাগানে প্রায় ১০ একর চা-ভূমিতে কেনাবেচা করে নির্মিত ৩৫টি প্লট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। চা-বাগানের টিলায় অবৈধভাবে নির্মিত বেশ কয়েকটি টিনের ঘর ও স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।
অভিযানের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাগানের টিলায় দীর্ঘদিন ধরে প্লটিংয়ের কাজ চলছে এবং এতে বাগানের ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, চা-বাগান কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে অবৈধ কার্যক্রম চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খুশনুর রাবাইয়াত বলেন, ‘চা-ভূমির টিলা কাটা এবং অবৈধভাবে বাড়িঘর নির্মাণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখানে চা-ভূমি হিসেবে সরকারি জমি দখল করে প্লটিং করা হচ্ছিল। যাদের দখলে জমি ছিল, তাদের কাছ থেকে জমি উদ্ধার করা হয়েছে।’
চা-বাগানের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, ‘আমরা বাগানের ব্যবস্থাপককে ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি সহযোগিতা করেননি। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা করা হবে এবং পুলিশের তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে, তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রশাসনের ভূমিসংশ্লিষ্ট শাখা সূত্র জানায়, খাদিমনগর চা-বাগানে ৩৫টি প্লট, দুটি টিনশেড ঘরসহ আনুমানিক ১০ একর জায়গায় প্লট বাণিজ্য হয়েছে। এরমধ্যে চা-ভূমির (৭১ নং খাদিমনগর টি গার্ডেন মৌজা) ১১১১, ১১১২, ১১১৩, ১১১৪, ১১১৫ ও ১১১৮ নং দাগের আনুমানিক ১০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
খাদিমনগর চা-বাগান সিলেটের সুরমাভালির একটি পুরোনো চা-বাগান। বাগানটির একাংশ সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত ৩৫নং ওয়ার্ড এলাকায় পড়েছে। প্রশাসনের এ অভিযানের পর এলাকাজুড়ে অবৈধ প্লট বিক্রি ও দখলবাজি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আইনত চা-ভূমি চা-বাগানসংশ্লিষ্ট কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চা-বাগান পাশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা এ বিষয়ে প্রশাসনের সার্বক্ষণিক নজরদারির আহ্বান জানিয়েছেন।
আপনার মন্তব্য