২০ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:০০
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বাংলাদেশি–কানাডিয়ান ফুটবল তারকা শমিত সোম আজ বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলের শতবর্ষী ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। তার আগমনে পুরো ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
সকাল ১১টার দিকে জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার বিদ্যালয়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী তাকে উষ্ণ অভিনন্দনে বরণ করে নেয়। বিদ্যালয়ের মাঠ, ভবন ও স্মৃতিচিহ্ন ঘুরে দেখার সময় প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী শমিতের হাতে ফুল তুলে দেন।
শমিত সোমের এই সফরে ছিল বিশেষ আবেগের ছোঁয়া। বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মানিক লাল সোমের নাতি শমিত তার দাদার কর্মস্থল এবং শতবর্ষী এই প্রতিষ্ঠান নিজ চোখে দেখতে আসেন। তাকে কাছে পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। স্কুলজুড়ে ধ্বনিত হয় একটিই স্লোগান-“শমিত! শমিত!”
এর আগে বুধবার সকালে একদিনের জন্য পৈতৃক বাড়ি শ্রীমঙ্গলে আসেন কানাডার এডমন্টনে জন্ম নেওয়া এই ফুটবল তারকা। মাত্র ছয় বছর বয়স থেকে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত শমিত বর্তমানে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়ে দেশের ফুটবলে আলোচিত নাম। বাবা–মা মানস সোম ও নন্দিতা সোম। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহন লাল সোম ও প্রাণতোষ সোমের ভাতিজা।
জাতীয় দলে যুক্ত হওয়ার পর এটিই তার প্রথম শ্রীমঙ্গল সফর। তাকে দেখার জন্য কয়েকদিন ধরেই এলাকায় ছিল উৎসবের আমেজ। দুপুর থেকে বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় জনসমাগম চোখে পড়ে।
ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী বলেন, ‘শমিত সোমের দাদু মানিক লাল সোম এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন এবং ফুটবল দলের কোচ ছিলেন। তিনি খুব ভালো ফুটবল খেলতেন এবং এই অঞ্চলে তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। শমিতের বাবা মানস লাল সোমও এই বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ আমরা শমিতকে এসব বিষয়ে জানিয়েছি এবং পুরো বিদ্যালয় ঘুরে দেখিয়েছি।’
শমিত সোম বলেন, ‘শুনেছি, আমার দাদু মানিক সোম খুব ভালো ফুটবলার ছিলেন। অনেকেই বলেন, যদিও তাঁকে খেলতে দেখার সুযোগ হয়নি। তারপরও ভাবতে ভালো লাগে যে আমার ফুটবলের প্রতিভা হয়তো পরিবার থেকেই এসেছে। ভিক্টোরিয়া স্কুল শুধু আমার দাদুর কর্মস্থল ছিল না, এটা আমাদের পরিবারের স্মৃতির অংশ। ছোটবেলায় দাদুর মুখে এই স্কুলের ফুটবল দলের গল্প অসংখ্যবার শুনেছি। আজ এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন সেই গল্পগুলোর ভেতরেই হাঁটছি।’
একদিনের সংক্ষিপ্ত সফর শেষে বিকেলেই শ্রীমঙ্গল থেকে ফিরে যান শমিত। আজকেই তার কানাডায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আপনার মন্তব্য