মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

১৩ মার্চ, ২০১৬ ০০:৪১

আগাম বৃষ্টিতে আগেভাগেই চা উৎপাদন শুরু

মৌলভীবাজারের চা বাগানগুলোতে শুরু হয়েছে চা উৎপাদন। আগাম বৃষ্টি পাওয়ায় এ বছর অনান্য বছরের ২০ দিন আগে থেকেই  বিভিন্ন চা বাগানে শুরু হয়েছে পাতা চয়ন। অনেকে কাঁচা পাতা  ওয়েদারিং শেষে  শুরু করেছেন মেইড টি উৎপাদনও।এ ধারা অভ্যাহত থাকলে গত বছরের ন্যায় এ বছরও উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চা সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবছর মার্চের শেষ দিকে নিজস্ব সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন চা বাগানে উৎপাদন শুরু হলেও এ বছর প্রাকৃতিক ভাবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বৃষ্টিপাত পাওয়ায় মার্চের ১ তারিখ থেকেই মৌলভীবাজারের বিভিন্ন চা বাগানে শুরু হয়েছে চায়ের উৎপাদন।  

বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মাঈন উদ্দিন জানান, সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত মৌসুমে ৩.৫০ মিলিয়ন কেজি বেশি চা উৎপাদন হয়েছে।  তবে এ বছর আগাম উৎপাদন শুরু হলেও আগামী চৈত্রমাসের খরা মোকাবেলায় সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ তার।

শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের ডিজিএম এবং বাংলাদেশীয় চা সংসদ সিলেট সার্কেলের ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, এ বছরের শুরুতে পৃথক পৃথক দিনে প্রায় ৯৫.৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত পেয়েছেন যা তাদের চায়ের আগাম প্লাকিং এর সুযোগ করে দিয়েছে।

শ্রীমঙ্গল জেরিন চা বাগানের ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা জানান, গত ১ মার্চ থেকে তারা প্লাকিং শুরু করে ইতিমধ্যে তারা মেইডটিতে চলে গেছেন। তিনি জানান, নতুন পাতার চায়ের গুনগত মানও বেশ ভালো হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল ক্লোনেল চা বাগানের মালিক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক জানান, আগাম বৃষ্টির জন্য এবছর তারা আগাম ক্রপ পেয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে পাতা চয়ন শুরু করেছেন। তিনি মনে করেন গত বছরের ন্যায় এবছরও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে দেশের গড় উৎপাদন বাড়বে।

এ ব্যাপারে সিনিয়র টি প্লান্টার মো: জহির আহমদ জানান, এ বছর ধারাবাহিকতায় ৪ দিন বৃষ্টি পেয়েছেন যার পরিমান সাড়ে ৫ ইঞ্চি। যা তাদের খুবই উপকার করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত