সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মার্চ, ২০১৬ ১৭:১৬

বিয়ানীবাজারে ‘ঐতিহ্যের চুঙ্গাপোড়া উৎসব’-এ উৎসাহিত সাধারণ মানুষ

ছোটবেলায় শুনছি চুঙ্গাপোড়ার কথা। জিনিষটা কী, কিভাবে হয় তা কখনো দেখা হয়নি। এই ৪৫  বছরে এসে চুঙ্গাপোড়া দেখলাম স্বাদও নিলাম- বাউল শিল্পী সূর্যলাল দাস সঙ্গীত পরিবশেনার আগে চুঙ্গাপোড়া উৎসব নিয়ে এভাবে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।



বিয়ানীবাজারে নবউদ্দাম সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে শনিবার রাতে ঐতিহ্যের চুঙ্গাপোড়া উৎসব’র উদ্বোধন করেন ভ্রমণ সাহিত্যিক-নাট্যকার শাকুর মজিদ। মাথিউরা ঈদগাহ বাজারের পাশের্^র খোলা জায়গায় দিনের আলো নেভার সাথে সাথে জ্বালানো হয় আমন ধানের নেড়ার আগুন। পোড়ানো হয় বাঁশের চুঙ্গা। চুঙ্গায় আগুন দিয়ে তিনি এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।


উদ্বোধক শাকুর মজিদ বলেন, প্রাশ্চাত্য  সংস্কৃতির প্রতি আমাদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়া নিজেদের ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছি। নবউদ্দাম আমাদের ঐতিহ্য পুনর্জীবিত করতে ভিন্ন আঙ্গিকে উৎসব করছে। এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
চুঙ্গাপোড়ানোর পর কৈ মাছের ঝোল দিয়ে অতিথি ও আগন্তুকদের মধ্যে পরিবেশন করা হয়। এরপর একই স্থানে রাতভর চলে বাউল গানের আসর। বাউল শিল্পী সূর্যলাল দাস, পথিক রাজু ও বিরহী আজিজ পালাক্রমে সিলেটের মরমী সাধক ও বাউলের গান পরিবেশন করেন।

সঙ্গীত অনুষ্ঠানে নবউদ্দাম’র উপদেষ্টা সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান।  সঙ্গীত অনুষ্ঠানের শুরুতে নবউদ্দাম’র সাধারণ সম্পাদক সুয়াইবুর স্বপন ঘোষণা দেন- ঐতিহ্যের এ উৎসব প্রতি বছর উদযাপন করবে নবউদ্দাম। আগামী বছর মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এ উৎসবের আয়োজন করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত