সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মার্চ, ২০১৬ ১৯:০৫

‘সুরমা আমার মা, আবর্জনা ফেলবো না’

সুরমা নদীকে দূষণমুক্ত করতে সুরমা রিভার ওয়াটারকিপারেরে নেতৃত্ব বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন বছরব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারনা কর্মসুচী হাতে নিয়েছে। সুরমাকে আবর্জনা মুক্ত রাখতে নদীর তীরবর্তী এলাকা ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে আবর্জনা না ফেলার আহবান জানানো হবে। একই সাথে সুরমার সাথে সংযুক্ত সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন খাল ও ছড়াকে দূষণমুক্ত রাখতে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করা হবে।

'সুরমা আমার মা, আবর্জনা ফেলবো না' শীর্ষক এই প্রচারপত্রের রোববার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিলেটের প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সিলেট শাখার সভাপতি ডঃ ছদরুদ্দিন চৌধুরী।

দীর্ঘদিন থেকে শয্যাশায়ী ডঃ চৌধুরী শৈশবে সুরমা নদী পাড়ি দিয়ে পাঠশালায় যাওয়ার স্মৃতিচারণ করে বলেন, সুরমা নদী আমাদের আত্মপরিচয়। এই নদীর কাছে সিলেটবাসীর অনেক ঋণ আছে। সুরমাকে বাঁচাতে হবে।

সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে ডঃ চৌধুরীর বাসভবনে এই প্রচারনাপত্রের উদ্বোধন কালে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অঙ্গিকার বাংলাদেশের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মইনুদ্দিন জালাল, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, দৈনিক সবুজ সিলেট এর ভারপ্রাপ্ত বার্তা সম্পাদক ও বাপা সংগঠক ছামির মাহমুদ, আকবেট-এর প্রধান নির্বাহী আসাদুজ্জামান সায়েম, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের দ্বোহা চৌধুরী, গ্রীন এক্সপ্লোর সোসাইটির সভাপতি অর্চিশমান দত্ত প্রমুখ।

সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার-এর নেতৃত্বে বাপা, আকবেট, ভূমিসন্তান বাংলাদেশ ও গ্রীন এক্সপ্লোর সোসাইটির পক্ষ্য থেকে প্রচারিত এই প্রচারপত্রে সুরমা নদী সিলেটের প্রাণ উল্লেখ করে বলা হয়, সিলেট নগরী সুরমা নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। সিলেটবাসীর ঠিকানা সুরমা। তাই 'সুরমা নদীর তীরে আমার ঠিকানারে...' অবলীলায় গাওয়া হয়। কিন্তু সেই সুরমা নদীর সাথে অত্যন্ত অন্যায় করা হচ্ছে। নগর জীবনের সমস্ত আবর্জনা সুরমা নদীতে ফেলা হয়। সুরমার সাথে সংযুক্ত খাল ও ছড়াগুলোতে গৃহস্থালি আবর্জনা, হোটেল-রেস্তোরা, হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলা হয়।

প্রচারপত্রে আশংকা করা হয়, এভাবে দূষণ অবুয়াহত থাকলে সুরমাকেও বুড়িগঙ্গা বা তুরাগের মত অবস্থায় পড়তে হবে। তাই সুরমাকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনকে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি সুরমাকে দূষণ মুক্ত করতে স্থানীয় ক্লাব, সমাজ সেবা সংগঠন ও সচেতন নাগরিকদের উদ্যোগ এবং ধর্মীয় নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করা হয়।

১৪ মার্চের কর্মসূচী : ১৪ মার্চ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকাল ৩ টা থেকে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস ২০০১৬ উপলক্ষ্যে সিলেট অঞ্চলের নদ-নদী নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ ও শিশু কিশোরদের নদী চিত্রের প্রদর্শনী এবং নদী বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত