সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ মার্চ, ২০১৬ ২১:৫৩

শহীদ মিনারে নদী বিষয়ক ব্যতিক্রর্মী প্রদর্শনী শুরু

একপাশে শিশু-কিশোরদের হাতে আঁকা কল্পনার সব সুন্দর নদী চিত্র। অন্যপাশে সংবাদপত্রে প্রকাশিত নদীর মুমূর্ষ সংবাদ সব সংবাদ। এমন বৈপরীত্য নিয়ে সাজানো 'নদী বিষয়ক প্রদর্শনী' ।

আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবসে সোমবার (১৪ মার্চ) সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুদিনের এই ‘নদী বিষয়ক প্রদর্শনী’র আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ট্রাস্ট ‘আকবেট’ ও চারু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'চিত্রণ'।

প্রদর্শনীতে সারিবদ্ধভাবে শিশু-কিশোরদের আঁকা প্রায় আশিটি চিত্র আছে এক পাশে রাখা। অপর পাশে আছে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সিলেট বিভাগের নদ-নদী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আর ছবিসংবলিত ১৮টি ফেস্টুন। বিকাল ৪টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ আন্দোলনের আহবায়ক প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা বেদানন্দ ভট্টাচার্য।  

বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটাকিপার আবদুল করিম কিমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী পর্বে বক্তারা বলেন ‘শিশুর আঁকা নদীগুলো দেখতে যে রকম, নদনদীকে ঠিক সেই রকম দেখতে চাই । ছোটদের আাঁকা এই নদীগুলো মিথ্যে নয় । সিলেটের নদীগুলো এমনই সুন্দর ও প্রাণচঞ্চল ছিল । কিন্তু বড়দের হাতে পড়ে নদীগুলো রোগাক্রান্ত । অতীত ও বর্তমানের বাস্তব চিত্র ফুটে এসেছে এ আয়োজনে। তাই নদী রক্ষায় আমাদের সোচ্চার হতে হবে। নদী-দরদি নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করতে হবে । এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই আমাদের।’

উদ্বোধনী বক্তৃতায় বেদানন্দ ভট্টাচার্য টিপাইমুখ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব নদী উজানের দিকে আগ্রাসনের শিকার। আমরা চাই নদীর উজান থেকে ভাটি পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকুক। এ জন্য সরকারকেও সতর্ক থাকতে হবে। নইলে সব নদী একদিন অতীত হয়ে যাবে।’

বৃহত্তর সিলেট ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী মুজিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অন্যানের মদ্যে বক্তব্য রাখেন বাপা সংগঠক ও সবুজ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছামির মাহমুদ, চিত্রণ এর পরিচালক সত্যজিৎ চক্রবর্তী, আকবেট-এর কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী চৌধুরী, প্রবাসী সংবাদকর্মী নিয়ামুল ইসলাম খান ও নাগরিক সংগঠন সংক্ষুব্ধ নাগরিক এর সংগঠক মুজাহিদুল ইসলাম মুনিম।

প্রদর্শনীতে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ১০০টি প্রতিবেদন ও ছবি ফেস্টুন আকারে প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি নদী রক্ষায় বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগ ও কর্মসূচির আলোকচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, প্রদর্শনীর পাশাপাশি শিশুদের জন্য ‘নদী নিয়ে কুইজ’ নামে একটি সাধারণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কুইজ জমাদান শেষে প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত