সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ১৩:৩৮

সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ঝড়ে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, কিশোরী নিহত

আহত অন্তত ১০

সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্বরপুর, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলায় উপর দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় তীব্র কালবৈশাখি ঝড়ে বিধ্বস্থ হয়েছে অন্তত পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি। ঘরের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন এক কিশোরী। আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০জন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে দেয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সহায়তার আশ্বাস স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্বরপুর, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলায় উপর দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত পনে ১২টায় দিকে তীব্র কালবৈশাখি ঝড় বয়ে যায়। এসময় চার উপজেলায় বিধ্বস্থ হয়েছে অন্তত পাচ শতাধিক ঘরবাড়ি। ঝড়ে বিশ্বম্বরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে ঘরের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন তানজিনা আক্তার (১২) নামের এক কিশোরী। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই ঝড়ে শত শত কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাহিরপুর উপজেলায় বাধাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগর, শাহিদাবাদ, মুকসেদপুর সহ অন্তত ৬ টি গ্রাম এবং বিশ্বম্বরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের মাছিমপুর, সলুকাবাদ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর সহ ৪টি গ্রাম। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এসব এলাকায় দুমড়েমুচরে মাটি উপরে পড়েযায় হাজারো গাছ। বিভিন্ন স্থানে গাছের ডালে টিন আটকে আছে। বিদ্যুতের খুটি উপড়ে বিছিন্ন রয়েছে তাহিরপুর ও বিশ্বম্বরপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন। ঝড়ে তাহিরপুর উপজেলায় বারিক্কাটিলায় ক্ষতি হয়েছে বহু কাঠাল গাছ। কয়েকশ গাছ ফল সহ উপড়ে পড়েছে।

তাহিরপুর লাউড়েরগর গ্রামের নুরু মিয়া জানান, তার নিজের বাড়ি সহ আশেপাশের সব কাচা ও আধাপাকা ঘড় মাটির সাথে মিশে গেছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখন খোলা আকাশে নিচে অবস্থান করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের একটু সহায়তায় মাথা গুজার ঠাই হলে আবারো ঘুরে দাড়াতে পারবেন।

বিশ্বম্বরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ জানান, উপজেলার পলাশ, সলুকাবাদ, ধনপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩শ ঘর একেবারে মাটিতে মিশে গেছে। নিহত হয়েছেন এক কিশোরী আহত অন্তত আরো ১০ জন। তিনি আরো জানান ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মঞ্জুর মুহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, চার উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড়ে ব্যপাক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষথেকে নিহতের পরিবারকে তাতক্ষনিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তালিকা করে সবাইকে সহায়তা দেয়ার জন্য প্রশাসন কাজ করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত