অরণ্য রণি

২৫ জুন, ২০১৬ ১৯:১২

রেমিটেন্স ‘কম আসছে’, তাই বেচাকেনা ‘অন্যবারের চেয়ে খারাপ’

নগরীর ঈদবাজার : থান কাপড়

সিলেটে জমে ওঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। রমজানের প্রথমদিকে রেডি কাপড়ের চেয়ে আনরেডি কাপড়ের দোকানেই ক্রেতারা বেশি ভিড় করে থাকেন। তবে এবার রমজানের মধ্যভাগ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আশানুরূপ ব্যবসা হয়নি বলে দাবি থান কাপড় ব্যবসায়ীদের।

নগরীর জিন্দাবাজারের নূর ফেব্রিক্সে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের কিছুটা ভিড়। তবে এবার ব্যবসা প্রত্যাশার চেয়ে কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

নূর ফেব্রিক্স'র স্বত্বাধিকারী মোস্তাক আহমেদ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঈদের বাজার মোটামোটি চলছে। ২-৩ দিন বৃষ্টি থাকায় ব্যবসায় কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। তবে আগের মত জমজমাট ব্যবসা এখন আর নেই। এখন কাপড়ের কোয়ালিটি ও রেট কমে গেছে। চাহিদাও কমে যাচ্ছে দিন দিন। আগে যারা ৪টা কিনতেন এখন তারা কিনেন ১টা বা ২টা। তবে রোববার থেকে বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরো বলেন, কাটা কাপড়ই দোকানে বেশি চলছে। সব ধরনের থান কাপড়, আনরেডী থ্রী পিস, ওড়নাও তিনি বিক্রি করেন। দেশী কাপড়গুলোর দাম আগের মতই আছে তবে বিদেশী কাপড়ের দাম আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ বাইরের কাপড়ের উপর ট্যাক্স বেড়েছে।

জিন্দাবাজারে অবস্থিত নিনিশা ফেব্রিক্স এর স্বত্বাধিকারী সুপান রায় বলেন, অন্যবারের তুলনায় ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। এ বছর দোকানপাটের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এখন ভালো ব্যবসা হওয়ারও আর সুযোগ নেই। কারণ কাটা কাপড়ের চাহিদা ১৫-২০ রমজান পর্যন্তই থাকে। এর পরে নিলে দর্জিরা এতোই ব্যস্ত থাকেন যে সেলাই করানো সম্ভব হয় না।

সিলেট সিটি সেন্টারের লাবণ্য ফেব্রিক্স জোন এ গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। দোকানের স্বত্বাধিকারী সায়েম আহমেদ চৌধুরী ঈদের বাজার সম্পর্কে বলেন, এবার ব্যবসা তুলনামূলকভাবে খারাপ। কারণ অনেকেই বেতন পাননি। ঈদ করতে প্রবাসীরাও এবার দেশে কম এসেছেন। রেমিটেন্সও কম আসছে। দোকানে বেশি বিক্রি হচ্ছে থান কাপড় ও ইন্ডিয়ান ড্রেস। দেশী কাপড় তুলনামূলকভাবে কম চলছে। তবে শেষের দিকে ব্যবসা ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত