২৬ জুন, ২০১৬ ২৩:৪৮
সারাদেশে ডিলারদের মাধ্যমে সরকারী টেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায়মূল্যে বিক্রি করলেও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টিসিবি'র পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
অভিযোগ ওঠেছে, ডিলাররা টিসিবি পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি না করে চোরাই পথে বিক্রি করে ফেলেছেন। তবে ডিলাররা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ডিরারদের দাবি এবার তাদেরকে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বরাদ্দ দেয়নি।
এদিকে, রমজান মাসেও টিসিবি'র পণ্য না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র গোষ্ঠির জনসাধারণ।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জগন্নথপুরে টিসিবি’র ডিলার মোট ৫ জন। এর মধ্যে জগন্নাথপুর পৌর শহরের জন্য ডিলার ফজলু মিয়া ও গিয়াস উদ্দিন। গিয়াস উদ্দিন বিদেশ চলে গেছেন। উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের জন্য ডিলার ধণেশ চন্দ্র রায়, সুহেল আহমদ ও জবরুল ইসলাম।
এবার সরকার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টিসিবি’র পণ্য হিসেবে খেজুর, চিনি, সয়াবিন তেল, মশুরী ডাল, ছোলা ইত্যাদি প্রদান করে। এর মধ্যে গত প্রায় দুই সপ্তাহ আগে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ডিলার ধণেশ চন্দ্র রায় ও সুহেল আহমদ টিসিবি’র পণ্য সয়াবিন, মশুরী ও ছোলা উত্তোলন করেন। এবার টিসিবি’র পণ্যগুলোর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন ৭৫ টাকা, প্রতি কেজি মশুরী ডাল ৮৭ টাকা, প্রতি কেজি ছোলা ৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এ ব্যাপারে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ডিলার ধণেশ চন্দ্র রায় জানান, এবার সরকার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বরাদ্দ দেয়নি। বিষয়টি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক অবগত আছেন। এরপরও আমাকে মাত্র ৩০০ কেজি ও ডিলার সুহেল আহমদকে ৩০০ কেজি পণ্য বরাদ্দ দেয়া হয়।
তিনিন বলেন, আমাদেরকে সামান্য পণ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। যা উত্তোলনের সাথে সাথে বিক্রি হয়ে গেছে। চোরাই পথে বিক্রি করার প্রশ্নই উঠে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, কি কারণে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি হচ্ছে না, তা আমি খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।
আপনার মন্তব্য