জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

০৮ জুলাই, ২০১৬ ০৫:০৯

জগন্নাথপুরে রথযাত্রা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ১২০ জনকে আসামি করে মামলা

জগন্নাথপুরে রথযাত্রা উৎসব পালনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর থানার এসআই অনির্বাণ বিশ্বাস বাদি হয়ে জগন্নাথপুর পৌর শহরের জগন্নাথপুর গ্রামের জগদিশ সূত্র ধরের ছেলে আ.লীগ নেতা জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র, জগন্নাথপুর বাজারের বাসিন্দা মৃত মিহির ধরের ছেলে আ.লীগ নেতা মিন্টু রঞ্জন ধর, জগন্নাথপুর গ্রামের আবু দে’র ছেলে বিভাষ দে, অমৃত লাল গোপের ছেলে অনন্ত লাল গোপ, মতিলাল দেবের ছেলে মিন্টু দেব, মিন্টু দে’র ছেলে মৃদুল দে ও কঞ্চন দেবের ছেলে পাপন দেবসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে উভয় পক্ষের মোট ১২০ জনকে গং আসামি করে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪, তারিখ ০৭/০৭/২০১৬ ইং।

প্রসঙ্গত, প্রায় দুইশত বছর ধরে জগন্নাথপুর পৌর শহরের স্বরুপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে (রথবাড়ি) স্থানীয় জগন্নাথ জিউর মন্দির ও বাসুদেব জিউর মন্দির কমিটির উদ্যোগে সার্বজনীন ভাবে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরের মতো এবারো এ দুই মন্দির কমিটির উদ্যোগে রথযাত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে এবারই প্রথম বাসুদেব নাম হট্র সংঘ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে ইসকনদের নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে হঠাৎ নতুন করে একই স্থানে আলাদাভাবে রথযাত্রা উৎসব পালনের ঘোষণা দেয়ায় সর্বস্তরের সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান না হওয়ায় অবশেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের হস্তক্ষেপে শর্ত সাপেক্ষে নিস্পত্তি হয়। পুরনো মন্দির কমিটিগুলো সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ও নতুন সংগঠন বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রা উৎসব পালন করবে। এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত পুরনো মন্দির কমিটির লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে রথযাত্রা উৎসব পালন করেন।

তবে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে স্থানীয় বাসুদেব বাড়ি থেকে নতুন সংগঠনের পৃথক রথযাত্রাটি অতিরিক্ত পুলিশি প্রহরায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের হয়। এ সময় রথযাত্রাটি স্থানীয় বড় দীঘির দক্ষিণ পাড় পয়েন্টে আসা মাত্র চারদিক থেকে ইটপাটকেল শুরু হলে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে পুলিশ, সাংবাদিক, কাউন্সিলরসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত