নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ আগস্ট, ২০১৬ ১২:২৭

রাগীব-রাবেয়া মেডিকেলের ব্যাংক হিসাব দাখিলের নির্দেশ

সিলেটের তারাপুর চা বাগানে অবস্থিত রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষকে গত এক বছরের ব্যাংক হিসাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে হাসপাতালটির ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত নথি দাখিল করতে হবে।

বুধবার (২৪ আগস্ট) রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থানান্তরের আবেদন শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষে সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।   

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তারাপুর চা স্টেটের দখল বৈধ সেবায়েত বরাবর হস্তান্তর করার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এই চা বাগানের মধ্যে যেসব স্থাপনা রয়েছে তাও সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন আদালত।

আপিল বিভাগের এই রায়ের পর গত জুন মাসে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিকেল কলেজ সরিয়ে নেয়ার জন্য এক বছরের সময় চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। বুধবার এর ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানির এক পর্যায়ের প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আদেশে অনেক অনিয়ম হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানের (রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ) বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেয়া যায় গকে এটি অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য, রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ যে জায়গায় গড়ে উঠেছে সে তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা এ চা-বাগান এলাকা ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী। গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের এক বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। রায় বাস্তবায়ন করতে সিলেটের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ১৫ মে চা বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়া ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় সিলেট জেলা প্রশাসন।

এরপর, সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাতের আলোচিত দুটি মামলায় গত ১০ আগস্ট রাগীব আলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপরই কোনো এক সময়ে রাগীব আলী সপরিবারে ভারত পালিয়ে যান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত