নিজস্ব প্রতবিদেক

০১ অক্টোবর, ২০১৬ ১৯:৪৪

মাদার তেরেসা মানব জাতির জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

মানবতার মূর্ত প্রতিক মাদার তেরেসা’র সাধ্বী লাভ ও পোপ ফ্রান্সিস কর্তৃক ঘোষিত দয়ার বর্ষ উপলক্ষ্যে সিলেট ধর্ম প্রদেশের খ্রিষ্টিয় ঐক্য ও আন্ত: ধর্মীয় সংলাপ কমিশন কর্তৃক সর্ম্প্রীতি সম্মেলন শনিবার অনুষ্টিত হয়েছে।

বিকাল সাড়ে ৪টায় সিলেট নগরীর বালুচর এলাকার সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হলরোমে অনুষ্ঠিত হয়। সর্ম্প্রীতি সম্মেলনের মূলসুর ছিল ”মাদার তেরেসার সাধ্বী রুপে ঘোষণা: প্রেমপুর্ন দয়া ও মানব সেবার অনন্য নির্দশন”।

অনুষ্ঠানে মুল বক্তব্যে সিলেট ধর্মপ্রদেশের মাননীয় বিশপ বিজয় এন. ডি ক্রুজ, ওএমআই বলেন, মাদার তেরেসা জীবিতকালেই সাধ্বী হিসেবে অনেকের শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। কারণ তার জীবন ছিল অতীব পবিত্র, তার সেবা কাজ ছিল অসাধারণ ও পূর্ণভাবে নিঃস্বার্থ।

“মাদার তেরেসা যে পথ আমাদের দেখিয়ে গেছেন তা মানব জাতির জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো: জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদার তেরেসা আমাদের সামনে না থাকলেও তিনি রয়েছেন সকলের অন্তরে। তার প্রতিষ্ঠিত আশ্রয় কেন্দ্রে অনাথ ও অসহায় শিশুর লালিত হয় মাদারের নিজের সন্তানের মত।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের সহকারী পরিচালক শাহ মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, রামকৃষ্ণ মিশন সিলেটের অধ্যক্ষ স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ মহারাজ ও সিলেট বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীম সংঘানন্দ থের।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে মাদার তেরেসার জীবনী ও কর্ম বিষয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। বিশ্ব শান্তির জন্য প্রার্থনা এবং কৃতজ্ঞতা নৃত্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সম্মেলন কমিটির আহবায়ক ফাদার স্টেনিসলাউস গমেজ ও সম্মেলনটি উপস্থাপন করেন পিউস নানোয়ার ও মার্গ্রেট সুমের।

উল্লেখ্য যে, মানবতার মূর্ত প্রতিক মাদার তেরেসাকে ৪ঠা সেপ্টেম্বর পোপ ফ্রান্সিস সাধ্ধী ঘোষণা করেন। মাদার তেরেসার দয়ার কাজ সার্বজনিন ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে। ধর্মের গন্ডি পেরিয়ে মানব সেবার অনন্য প্রতিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্টিত করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত