জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ

০৩ এপ্রিল, ২০১৭ ১৯:৪৩

বিশ্বনাথে আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে ৪ লাখ টাকার মাছ, আতঙ্কে মৎস্য চাষীরা

এবার চৈত্রের ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে সিলেটের বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীতে চাষকৃত সিবিজি প্রকল্পের প্যানকালচার’র প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আতঙ্কে রয়েছেন উপজেলার প্রায় ৭ হাজার মৎস্য খামারি।

চলতি বছর বিশ্বনাথে ৭ হাজার ৩শ’ ৮৬টি পুকুরে মাছ চাষ করা হয়েছে। তবে বিপদ সীমায় রয়েছে উপজেলার দেওকলস, সৎপুর, আমতৈল ও সত্তিশ এলাকার প্রায় ৫০০ পুকুর। পুকুরে মৎস্য চাষীদের দাবি, আরও দু’একদিন এভাবে অঝর ধারার বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পুকুরের মাছ ভেসে যাবার আশংকা রয়েছে।

২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিবিজি প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে প্যানে মাছ চাষ (প্যান-কালচার চাষ) করা হয় উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের গোদামঘাট এলাকায়। প্রায় ৩ একর জায়গায় কলমের ন্যায় নেটিং করে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন তৎকালীন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বণিক।

কিন্তু গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় বাসিয়া নদীর ওই সিবিজি প্রকল্পের প্যান-কালচারে চাষকৃত রুই, কাতলা, মৃগেলসহ উন্নত প্রজাতির প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে তৎকালীন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বণিক’র সহযোগীতায় দেওকলস ইউনিয়নের লুৎফুর রহমান মাছুম, মধু মিয়া, অধির আচার্য্যসহ ২০ জন নদীতে এ মাছ চাষ করেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ভূইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সিবিজি প্রকল্পের আওতায় বাসিয়া নদীতে প্রায় ৩ একর জায়গা জুড়ে চাষকৃত ওই প্যান কালচার বানের পানিতে তলিয়ে গেছে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার আকস্মিক বন্যা কবলিত বিশ্বনাথের চালধনী হাওরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত