নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ আগস্ট, ২০১৭ ০৩:৪৯

মধ্যরাতে জিন্দাবাজারে জগন্নাথ জিউড় আখড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ

সিলেটের জিন্দাবাজারের শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউড় আখড়ায় কীর্তন চলাকালীন সময়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাত ১টা ৩৯ মিনিটে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা যায়। ঘটনার পরপরই কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ভক্তবৃন্দ সূত্রে জানা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের সময় মন্দিরে অষ্টপ্রহর কীর্তন চলছিল। গেটের বাইরে থেকে দুর্বৃত্তরা ককটেল নিক্ষেপ করে, যা নাটমন্দিরের কাছে এসে বিস্ফারিত হয়।

এ সময় কীর্তনে আসা ভক্তবৃন্দের মনে ভয় ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ককটেল বিস্ফোরণেও কীর্তন কার্যক্রম বন্ধ হয়নি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল আলম সিলেটটুডে টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গৌছুল আলম জানান, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এমুহূর্তে দুজনকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো জানান, ছবিতে টি-শার্ট পড়া এক যুবক প্রথমে গেট দিয়ে আখড়ায় প্রবেশ করে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির পর সে বের হয়ে যায়। তার কিচ্ছুক্ষণ পরপরই  আরেকজন ফুলহাতা শার্ট পড়া যুবক আখড়ায় প্রবেশ করে এবং গেটে অবস্থান নেয়। তার কিছুক্ষণ পর প্রথম যুবক হাত নেড়ে ইশারা করার সাথে সাথে গেটের বাইরে থেকে ছোঁড়া ককটেল আখড়ার ভিতরে নাট মন্দিরের কাছে বিস্ফোরিত হয়।

মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রলয়কান্তি দেব বেণু বলেন, এই হামলা একটা সাম্প্রদায়িক হামলা, দেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যেতে বাধা প্রদানই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

মহানগর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত বলেন,  মন্দিরে কীর্তন চলাকালে এমন হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় , এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা।

সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টির জন্যই এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন, সামনে জন্মাষ্টমী উৎসব রয়েছে, সেখানে এর প্রভাব ফেলতেই প্রতিক্রিয়াশালী জঙ্গিদের এমন অপচেষ্টা সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত