১৭ আগস্ট, ২০১৭ ১৭:৫৪
সিলেটের বিশ্বনাথে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের অবহেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে মাদ্রাসাছাত্র রুহুল আমীন (১৬)। সে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের সৌদী প্রবাসী চান মিয়ার ছেলে।
তেলীকোনা এলাহাবাদ আলীম মাদ্রাসার ৯ম শ্রেনীর ছাত্র রুহুল আমীন বৃহস্পতিবার (১৭আগষ্ট) সকাল ৯টার দিকে বিদ্যুতের ঝুলে পড়া লাইনে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, ৩বছর ধরে পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রাম দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎলাইনটি ঝুঁকিপুর্ন অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে চারিদিকে পানি থাকায় ১০ফুট উঁচু লাইনটি মাত্র ২ ফুটে পরিনত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি বিভিন্ন গাছের সাথে, বাঁশের খুঁঠিসহ বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের লোহার পাতের সঙ্গে বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দেয়া হয়ে থাকে।
ঝুঁকিপুর্ণ বিদ্যুৎলাইনের নিচ দিয়ে নৌকাযোগ মাদ্রাসা যাবার পথে রুহুল আমীনের অকাল মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তার চাচা লাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বার বার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও দীর্ঘ ৩বছর ধরে গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া ওই বিদ্যুৎলাইনটি ঝুলে পড়ে আছে। পল্লী-বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই রুহুল আমীনের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ঝুলে পড়া লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে।
তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ পল্লী বিদ্যুতের বিশ্বনাথ অফিসের ডিজিএম অমলেশ চন্দ্র বর্মন। তিনি এমন অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে বলেন, বিদ্যুতের লাইন ঝুলে পড়ার কোন অভিযোগ আজ পর্যন্ত আমার জানানেই।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।
আপনার মন্তব্য