সিলেটের ওসমানীনগরে অগ্নিকান্ডে ২৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার তাজপুর বাজারে সবজি গলি সহ আশপাশের ২৩টি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাত ২টার দিকে উপজেলার তাজপুর বাজারের সবজি গলিতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা প্রবল থাকায় মুহূর্তে মধ্যে আশপাশের অন্যান্য দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পরে। আগুন লাগার ঘটনাটি বাজারের পাহারাদার ও টহল পুলিশ দেখতে পেয়ে তাজপুর ফায়ার ব্রিগেডে খবর দিলে ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ ও এলাকার সাধারণ মানুষ এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর মধ্যে বাজারের ২৩টি দোকান মালামাল সহ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ঘটনার পরদিন বুধবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর তিনটায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৩ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জন প্রতি নগদ ৫ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হাতে অনুদানের টাকা তুলে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুল হক চৌধুরী, ইউএনও আনিছুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান, আবদাল মিয়া, চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী, সাংবাদিক জুবেল আহমদ সেকেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা চঞ্চল পাল, উপ সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর রেজা ও তাজপুর বাজার সেক্রেটারি সুহেল মিয়া।

বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে এসে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের জন প্রতি ৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৫ হাজার করে নগদ ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেছি। জেলা প্রশাসকের নিকট ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রেরণ করেছি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের তহবিল থেকে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি ওখান থেকেও কিছু অনুদান পাওয়া যাবে।