নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৮:৪৭

আবার শাহ আরেফিন টিলায় ধস, শ্রমিকের মৃত্যু

আজ জাফলং তো, কাল ভোলাগঞ্জ। একদিন লোভাছড়া তো আরেকদিন শাহ আরেফিন টিলা। এ যেনো বৃত্তের মতো। ঘুরে ঘুরে একেকদিন সিলেটের একেক পাথর কোয়ারির গর্ত ধসে পড়ছে। আর প্রাণ যাচ্ছে শ্রমিকের। পাথর কোয়ারিতে গর্ত ধসে প্রাণহানি এখন নিত্তকরা ঘটনা। কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না মৃত্যুর মিছিল। সিলেটের ৬ পাথর কোয়ারির কোথাও না কোথাও প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছেন শ্রমিক।

বুধবারও পাথর কোয়ারিতে গর্ত ধসেছে। এবার ধসেছে কোম্পানীগঞ্জের শাহ-আরেফিন টিলার গর্ত। বুধবারের ধসে মারা গেছেন কাঁচা মিয়া নামের এক শ্রমিক। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এনিয়ে গত চারদিনে কেবল কোম্পানীগঞ্জেই মারা গেলেন ৬ শ্রমিক। আর গত ১৩ মাসে সিলেটের বিভিন্ন কোয়ারিতে গর্ত ধসে মারা গেছেন ৫৪ শ্রমিক। এরমধ্যে গতবছরের ২৩ জানুয়ারি এই শাহ আরেফিন টিলা ধসেই ৫ জন, ১ ও ১১ ফেব্রুয়ারি একই টিলা ধসে ২ জন, ২ ও ৬ মার্চ, ২০ জুলাই এবং ২৬ অক্টোবর আরো ৪ জন মারা যান।

কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল লাইছ বলেন, বুধবার সকালে শাহ আরেফিন টিলায় আমরা  টাস্কফোর্সের অভিযান চালাই। অভিযানকালেই টিলার একটি গর্ত ধসে দুই শ্রমিক আহতের খবর শুনতে পাই। তবে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। আহত শ্রমিকদের নিজ বাড়ি ছাতকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। সেখানে আহতদের মধ্যে কাঁচা মিয়া নামে একজন বিকেলে মারা যান বলে শুনেছি।
আব্দুল গনি নামে আরেক শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে স্থানীয় এশাধিক সূত্র জানিয়েছে, ওই গর্ত ধসে ৫ শ্রমিক চাপা পড়েন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পাওে বলে জানিয়েছেন তারা।

কোম্পানিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিলীপ নাথ বলেন, এক শ্রমিক মারা গেছেন শুনেছি। তবে এখনো আমরা কোনো লাশ পাইনি।

এরআগে সর্বশেষ গত রোববার রাতে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে গর্ত ধসে ৫ শ্রমিক ও সোমবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর কোয়ারিতে গর্ত ধসে ১ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ভোলাগঞ্জে ৫ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজাদসহ ৭ জনের নাম উলেলখ করে মামলা করে পুলিশ। যদিও এখন কোয়ারির শ্রমিক সর্দার আব্দুর রউফ ছাড়া কাউকে গেস্খপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত