নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ মার্চ, ২০১৮ ০০:৫৮

গাড়িতে হাত দেওয়ায় স্কুল ছাত্রকে মারধর জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের

এবার এক স্কুল ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইকবাল আহমদের বিরুদ্ধে। মারধরে আহত ৫ম শ্রেণীর ছাত্র জহিরুল ইসলাম মুন্নাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে জকিগঞ্জের হাইদ্রাবন্দ গ্রামে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

এরআগে গত বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে অসুস্থ এক শিক্ষিকার শ্রেণিকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে তিনি দেশব্যাপী সমালোচিত হয়েছিলেন ইকবাল।

জহিরুল ইসলাম মুন্না জকিগঞ্জের হাইদ্রাবন্দ গ্রামের মৃত সরফই মিয়ার ছেলে। সে জকিগঞ্জের নরসিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ সরকারি গাড়ি নিয়ে পৌর এলাকার হাইদ্রাবন্দ গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় জহিরুল ইসলাম মুন্না গাড়ির কাচে হাত দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ইকবাল আহমদ। এরপর জহিরুল ইসলাম মুন্নাকে ধরে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন।


মুন্নার মা শাহানারা বেগম জানান, বাড়ির সামনে দিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এসময় আমার ছেলে তার গাড়ির গ্লাসে হাত দিলে তিনি তাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন। পরে ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করার পরামর্শ দেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ বলেন, ‘ছেলেটি আমার গাড়িতে ঘষা দিয়ে দাগ ফেলেছে। তাই তাকে ধরে কয়েকটা চড় দিয়েছি। ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য একটি পক্ষ ছেলের মাকে বুঝিয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছে।’


জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ মেহেদী বলেন, ‘ছেলের মায়ের অভিযোগ, তার ছেলেকে উপজেলা চেয়ারম্যান মারধর করেছেন। ওই ছেলে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার ভেতরে ভয় ঢুকে গেছে বলে মনে হচ্ছে। তার চিকিৎসা চলছে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ অক্টোবর উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ জকিগঞ্জের খলাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষকের ঘুমন্ত ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।ওই নারী শিক্ষক তখন দাবি করেন,দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থবোধ করায় তন্দ্রারত ছিলেন তিনি। সেসময় গোপনে এসে তার ছবি তুলে ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দেন ওই উপজেলা চেয়ারম্যান।অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়টিতে প্রবেশ করে ওই ছবি তোলায় তীব্র সমালোচিত হয়েছিলেন ইকবাল। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত