নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ মার্চ, ২০১৮ ১২:১১

শাহ আরেফিন টিলা ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩

সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলায় পাথর কোয়ারিতে মাটি চাপা পড়া অবস্থায় আরো ২ শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  বুধবার ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে  মাটি চাপায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল তিনজনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে দুইজন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলার বশির আহমদের কোয়ারিতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, বুধবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলায় বশির আহমদের গর্তে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে তিন শ্রমিক পাথর চাপায় মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন আরো দু’জন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বান্দা গ্রামের মৃত আব্দুর নুরের ছেলে জহির হোসেন (৩৬), জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ জীরদার গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আফাজ উদ্দিন ও একই গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে কাঁচা মিয়া (৬০)।

এর আগে সর্বশেষ গত রোববার রাতে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে গর্ত ধসে ৫ শ্রমিক ও সোমবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর কোয়ারিতে গর্ত ধসে ১ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ভোলাগঞ্জে ৫ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজাদসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। যদিও এখন কোয়ারির শ্রমিক সর্দার আব্দুর রউফ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এনিয়ে গত চারদিনে কেবল কোম্পানীগঞ্জেই মারা গেলেন ৮ শ্রমিক। আর গত ১৩ মাসে সিলেটের বিভিন্ন কোয়ারিতে গর্ত ধসে মারা গেছেন ৫৪ শ্রমিক। এরমধ্যে গতবছরের ২৩ জানুয়ারি এই শাহ আরেফিন টিলা ধসেই ৫ জন, ১ ও ১১ ফেব্রুয়ারি একই টিলা ধসে ২ জন, ২ ও ৬ মার্চ, ২০ জুলাই এবং ২৬ অক্টোবর আরো ৪ জন মারা যান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত