কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৫ নভেম্বর, ২০১৮ ২২:৩৭

কমলগঞ্জে প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষিত!

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের মধ্যভাগ গ্রামে মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এক নারী (২৭) ধর্ষিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় মধ্যভাগ কবরস্থান সংলগ্ন একটি ঝুঁপড়ি ঘরে তিনি ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের।

ওউ নারী স্থানীয় এক কৃষকের মেয়ে।  তাঁর ভাই সোমবার সন্ধ্যায় অভিযোগ করেন, আদমপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য সিদ্দেক আলীর ভাই নওয়াব আলী (৫০) তার বোনকে ধর্ষণ করেন। তিনি জানান, মধ্যভাগ কবরস্থানের পাশে নওয়াব আলীর কিছু  জমি রয়েছে। সেখানে সে একটি ছোট ঝুঁপড়ি করে থাকে। সোমবার দুপুরে তার প্রতিবন্ধী বোনকে একা পেয়ে এই ঝুঁপড়ি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে নওয়াব আলী। ঘটনার পর ধর্ষণকারী এলাকা ত্যাগ করলে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে দ্রুত মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ধর্ষণকারী প্রভাবশালী বলে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করে না। সে এই এলাকায় এ ধরণের অনেক ঘটনাও ঘটিয়েছে।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, এ ধরনের ঘটনা তারা শুনেননি। তারা শুনেছেন টমেটো খেত নিয়ে দুই পক্ষের ঝগড়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অভিযুক্ত নওয়াব আলী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, এক খন্ড জমি ক্রয় নিয়ে গ্রামের একটি পক্ষের সাথে তার বিরোধ চলছে। এ বিরোধে তাকে ধর্ষণকারী বানিয়ে এই নারীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে হেলাল ও কামাল নামের দুই ব্যক্তি। তিনি প্রয়োজনে পরবর্তীতে তাদের নামে মানহানির মামলা করারও কথা জানান।

আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেনও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি জঘন্য কাজ। নারীটি মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী ভাতাভুক্ত। তিনিও এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. পলাশ রায় বলেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে এক প্রতিবন্ধী নারী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত