সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ মার্চ, ২০১৯ ০১:৫৩

সিলেটে আরো ৪ টি স্থলবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা

সিলেটে আরো একাধিক স্থলবন্দর সিলেট অঞ্চলে করা যায় কি না, তা ভাবছে সরকার। আর এ লক্ষ্যে সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের ৪টি শুল্ক স্টেশনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর কাজ শুরু করেছে। এগুলো হলো সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ, জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করা হবে।

এছাড়াও দেশের আরো ২টি শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণার সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ চলছে।

রোববার জাতীয় সংসদে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে স্থলবন্দরের সংখ্যা ২৩টি। সিলেটের ৪টিসহ আরো ৬টি স্থলবন্দরের সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদে নওগাঁ-২ আসনের এমপি মো. শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান দেশে ঘোষিত স্থলবন্দরগুলো হলো-বেনাপোল (যশোর), বুড়িমারী স্থলবন্দর (লালমনিরহাট), আখাউড়া স্থলবন্দর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), সোনামসজিদ স্থলবন্দর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), হিলি স্থলবন্দর (দিনাজপুর), ভোমরা স্থলবন্দর (সাতক্ষীরা), বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর (পঞ্চগড়), বিরল স্থলবন্দর (দিনাজপুর), টেকনাফ স্থলবন্দর (কক্সবাজার), তামাবিল স্থলবন্দর (সিলেট), গোবড়াকুড়া-কুড়ইতলি স্থলবন্দর (ময়মনসিংহ), বিবির বাজার স্থলবন্দর (কুমিল্লা), দর্শনা স্থলবন্দর (চুয়াডাঙ্গা), বিলোনিয়া স্থলবন্দর (ফেনী), নাকুগাঁও স্থলবন্দর (শেরপুর), রামগড় স্থলবন্দর (খাগড়াছড়ি), সোনাহাট স্থলবন্দর (কুড়িগ্রাম), তেগামুখ স্থলবন্দর (রাঙামাটি), চিলাহাটি স্থলবন্দর (নীলফামারী), দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর (চুয়াডাঙ্গা), ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর (জামালপুর), শেওলা স্থলবন্দর (সিলেট) ও বাল্লা স্থলবন্দর (হবিগঞ্জ)।

এছাড়া সিলেটের সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ, জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর, কুড়িগ্রামের রৌমারী, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম, শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণার বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

সিলেট কাস্টমস সূত্র জানায়, সিলেট জেলায় ভোলাগঞ্জ ও জকিগঞ্জ, সুনামগঞ্জে ছাতক, চেলা, ইছামতি, বড়ছড়া, বগলী, চারাগাঁও, মৌলভীবাজারে মুড়ি (বেতুলী), চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।

এসবের মধ্যে আমদানি পণ্য হলো কয়লা, পাথর, চুনাপাথর, ক্লিংকার, সাতকরা, শুঁটকি, টমেটো, আদা, পিঁয়াজ, পান, রো-হাইস্কিল, হ্যালমেট, বে-লীফ, আঙ্গুর, আম, কলা, আনারস, লিচু ও ভাঙ্গা কাঁচ।

রফতানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে, বিভিন্ন ধরণের খাদ্যসামগ্রী, তুলা, প্লাস্টিক সামগ্রী, সিমেন্ট, মেলামাইন, ক্লোরিন গ্যাস, আসবাবপত্র, বিভিন্ন ধরনের মাছ, খৈল, ডিউরেবল প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন পণ্য।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত