সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ মার্চ, ২০১৯ ১৯:০৩

সুরমা নদীতে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্দের দাবিতে ৩ গ্রামবাসীর মানববন্ধন

সিলেট সদর উপজেলার মুরাদপুর গ্রাম সংলগ্ন সুরমা নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে অবৈধ ড্রেজার ও এস্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গনে বিলিন হতে যাওয়া স্কুল, মসজিদ ও কবরস্থান রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মুরাদপুরসহ তিন গ্রামবাসী। 

সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ১১ টায় মুরাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
 
সমাবেশে মুরাদপুর, পশ্চিম মুরাদপুর ও পিরের চক গ্রামের শতাধিক সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
 
মুরাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অভিবাবক কমিটির সভাপতি ইসলাম উদ্দিনের পরিচালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 
 
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সালেহ আহমদ, আব্দুল আলীম,সুমিল আহমদ ও আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তারা অপরিকল্পিত ভাবে অবৈধ ড্রেজার ও এস্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলন করলেও এদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এ চারজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে।
 
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন,  সুরমা নদীতে চর পড়ায় সরকার থেকে লিজ নিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজার ও এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যার ফলে দেখা দিয়েছে ভাঙন, এরই মধ্যে তিন গ্রামের কবরস্থান ও স্কুল ভাঙনের কবলে পড়েছে। বালু উত্তোলনের ফলে পাশ্ববর্তী শাহপারন ব্রিজের পিলারে নিচের মাটি সরে গেছে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই যতদ্রুত সম্ভব বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান তারা। 

মানববন্ধন  ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মুরাদপুর জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লী খলিল মিয়া, মসজিদ কমিটির সাধারান সম্পাদক হযঃ শাহপরান এবতেদায়ী মাদ্রাসার জমি দাতা আজমল আলী নেপুর, গ্রামের প্রবিন মুরব্বি গিয়াস মিয়া, মুরব্বি আরব আলী, মুরব্বি সিরাজ মিয়া, কাদির মিয়া, ফুরুক মিয়া, কয়েস মিয়া, নেছার আলী,তুয়াহির আলী, আব্দুল মন্নান, রাজন মিয়া, তফুর মিয়া, আলা উদ্দিন, ফঠিক মিয়া, কবির মিয়া, আপ্তাব আলী, লাল মিয়া, জিয়াউর রহমান লুলু মিয়া, সুজাই মিয়া, লেচু মিয়া, আব্দুল মন্নান, রুকিয়া বেগম, রোজিনা বেগম, রাহেলা বেগম, নাজমা বেগম শেলি বেগম, ফারজানা, রুসনা, আছিয়া বেগম, শিরিন ফজিরুন রেজিয়া,  আবুল কালাম আজাদ, তাহির আলী, ফেরদৌস আহমদ, হিফজুর রহমান, ইসলাম উদ্দিন, জুনেদ আহমদসহ তিন গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক সাধারণ মানুষ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত