নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২১:৩১

সিলেটে রাতে বাড়বে ঠাণ্ডা, ভোরে কুয়াশা

ঋতুচক্রের হিসেবে শীতকাল এখন। পৌষ-মাস এ দুই মাস শীতকাল হলেও মাঘে বাড়ে শীতের দাপট। তবে এবার মাঘের আগে পৌষ থেকেই শুরু হয়েছে শীতের দাপট। গত ক'দিন ধরেই চলছে হাড়কাঁপানো শীত। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে শীত আরও বাড়বে। ভোরের দিকে বাড়বে কুয়াশাও।

তবে রাতে শীত বাড়লেও দিনে তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ফলে দিনের বেলা যে শীত অনুভূত হচ্ছিল সেটি কিছুটা কমে আসবে বলে জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে সিলেটে ভারী কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, শুক্রবার সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি যে বৃষ্টি ছিল, তা আর নেই। শুক্রবার সিলেটে সর্বমোট দশমিক ৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সিলেটে বৃষ্টি না হলেও শীত অনুভূত হবে এবং সিলেটের কোথাও কোথাও ভারী কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা ও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, সিলেটে সপ্তাহখানেকের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের কোন সম্ভাবনা নেই। তবে প্রতিদিন রাতের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে ও দিনের বেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের পর থেকে সিলেটে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

তিনি জানান, তাপমাত্রা যখন ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে তখন তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। যেহেতু সিলেটের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে আছে তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা যায় না।

সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, সিলেটে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি কেটে গেলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। বৃদ্ধি পেতে পারে দিনের তাপমাত্রাও। তবে রাতের বেলায় তাপমাত্রা কমে আসবে।

এদিকে, শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়াশার প্রকোপ। এ ব্যাপারে তিনি জানান, মধ্যরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এমনকি কুয়াশার পরিমাণ বাড়বে বলেও জানান তিনি। তবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের পর থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই কুয়াশার পরিমাণ কমতে শুরু করবে। তবে বাড়তে শুরু করবে শীতের তীব্রতা।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু ও মাঝারি ধরনের যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত