নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:২০

সিলেটে হচ্ছে আরেকটি ‘সীমান্ত হাট’

সিলেটের বিয়ানীবাজারের মুড়িয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চালু হচ্ছে আরেকটি বর্ডার হাট (সীমান্ত হাট)। এ হাট বসানোর লক্ষ্যে সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চালু হলে এটি হবে সিলেটের ৩য় সীমান্ত হাট। সিলেটে আরও দুটি সীমান্ত হাট স্থাপনের কাজ চলছে।

বিয়ানীবাজার সীমান্ত হাট নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর মুড়িয়া এলাকায় সীমান্ত পিলার মেইন পিলারের (১৩৬৩-১৩৬৪) মধ্যবর্তী নো-ম্যানস ল্যান্ডে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে। সভায় বাংলাদেশের দলের সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে, ভারতের করিমগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন সভায়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সীমান্ত হাটে কাপড়, সাবান, মসলা, বাচ্চাদের জিনিসপত্র, গৃহস্থালি নানা জিনিসপত্র, তেল, ঘি, মশার কয়েল, প্লাস্টিক জাতীয় টেবিল-চেয়ার, সিরামিকস, কসমেটিকস সামগ্রী বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, সীমান্ত হাট স্থাপনের জন্য বিয়ানীবাজারের মুড়িয়ায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে এক একর ১৭ শতক জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিলেট জেলার তৃতীয় সীমান্ত হাট চালু করা হচ্ছে।

তিনি জানান, বিয়ানীবাজার সীমান্তে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে সীমান্ত বাজার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠকে সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন আমাদের পক্ষ থেকে সীমান্ত হাটের যাবতীয় ফাইল চূড়ান্তভাবে বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সীমান্ত হাটের কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে এবং কানাইঘাট উপজেলার সনাতনপুঞ্জি এলাকায় দুটি সীমান্ত হাট স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী বছর শুরুর দিতে এ দুটি সীমান্ত হাট চালুর কথা রয়েছে।

মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বোচ্চ ৫০ জন করে মোট ১০০ জন ব্যবসায়ী সীমান্ত হাটে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। হাটকে ঘিরে পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে সীমান্ত হাটের কার্যক্রম।

তিনি আরও জানান, সীমান্ত হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাকে বর্ডার হাটে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য জেলা প্রশাসন হতে পরিচিত কার্ড ইস্যু করা হবে, হাটে প্রবেশের জন্য উভয় দেশের দু’দিকে ২টি গেইট থাকবে। ওয়াচ টাওয়ার, শৌচাগার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকবে। সীমান্ত হাটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ শিগগিরই শুরু করবে।

এদিকে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়, সীমান্তবর্তী এলাকার দুই দেশের জনগণের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজলভ্য করার মাধ্যমে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন করার উদ্দেশ্যেই দেশের বিভিন্ন সীমান্তে বর্ডার হাট চালু হয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী সাধারণ জনগণের সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক বন্ধনও দৃঢ় হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত