নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ২৩:৫২

পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশ মন্ত্রীর

পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় টিলা কাটা, নদী ভরাট, পলিথিন ব্যবহার, ইট ভাটা বন্ধ করতে হবে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এক দিনে সারাদেশে এক কোটি গাছ লাগানো হবে। এবারের ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সুন্দরবনে গাছ আমাদেরকে মারাত্মক ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছে। পলিথিনের বিকল্প পাট জাতীয় ব্যাগ বাজারজাতের উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেটের রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এমপি বলেন, বর্তমান সরকার প্রযুক্তি শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করে যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছেন। মুজিব বর্ষে রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এ প্রতিষ্ঠান যিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং যারা শিক্ষকতা করেছেন। এ বিদ্যালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হয়ে আলোকিত মানুষ হয়েছেন বলেও যোগ করেন তিনি।

পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, এটা আজ প্রমাণিত। শিক্ষা ছাড়া কিছু নেই। শিক্ষিত জাতি গঠনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করা সম্ভব।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শুধু গোল্ডেন এ প্লাস পেলেই চলবে না। অনেকেই এ+, গোল্ডেন এ+ পেয়েও ঢাকা ভার্সিটি, শাহজালাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারেনি। মন দিয়ে লেখাপড়া করলে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।  

সবশেষে তিনি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিদ্যালয়ের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণে আশ্বাস প্রদান করেন।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক আফসার আজিজের সভাপতিত্বে ও প্রাক্তন ছাত্র সঞ্জয় কুমার নাথের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সিলেটের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মজিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ, সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল আলম প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ধীরাজ নন্দী চৌধুরী। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ইফতেখার হোসেন মনি। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন মুফতি মোহাম্মদ উবায়েদ এবং গীতা পাঠ করেন বিনায়ক শুভ। পরে অনুষ্ঠানে ‘স্মৃতিময় রসময়’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করে প্রধান অতিথি সহ অতিথিবৃন্দ। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এছাড়া জাতীয় পতাকা ও পুনর্মিলনী পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক আফসার আজিজ ও সদস্য সচিব ধীরাজ নন্দী চৌধুরী।

পরে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলম, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক আফসার আজিজ ও সদস্য সচিব ধীরাজ নন্দী চৌধুরী, উদযাপন কমিটির সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত