জাহিদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৬:৩১

সাড়ে ৩ কোটি টাকার সেতু কোনও কাজে লাগছে না

সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে সেতু। কিন্তু সেতুটি সাধারণ মানুষের কোনো কাজেই আসছে না।

প্রায় ৭ বছর আগে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের রাজাপুরে কুড়া নদীর ওপর দ্বিতীয় কুঁড়া সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুর কাজ শেষ হলেও সেতুটির এক পাশের সংযোগ সড়ক এখনো নির্মিত হয়নি। ফলে এত টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি জনগণের কোনো কাজেই আসছে না।

এ সেতুটি চালু হলে পূর্ব সিলেটের বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শতাধিক গ্রাম যোগাযোগের আওতায় আসবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুড়া নদীর ওপর ১১১ দশমিক ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। এতে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার (সিলেট-৬) আসনের তৎকালীন সাংসদ নুরুল ইসলান নাহিদ সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। প্রথম দফায় কাজ শেষে ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তন হলে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসলে ফের সেতুর কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের জুন মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর পরেও সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপন না হওয়ায় জনগণের কোন কাজেই আসছে না সেতুটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর এক প্রান্ত ঢাকাদক্ষিণ-ভাদেশ্বর সড়কে গিয়ে মিলিত হলেও অপরপ্রান্তে সংযোগ সড়ক নেই। সেখানে প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন সড়ক নির্মাণ করলে সেতুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকাবাসীর অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো এখানে কুড়া নদীর উপর রাজাপুরে একটি সেতু নির্মাণ করা। সেতু নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেও সংযোগ সড়কের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

ছিলিমপুর গ্রামের বায়োবৃদ্ধ ছানু মিয়া জানান, সেতু নির্মাণ হলেও সরকারের এতো টাকার সেতু কোনো কাজেই আসছে না। সংযোগ সড়ক স্থাপন করা হলে পূর্ব সিলেটের কয়েক শতাধিক গ্রামের সাথে গোলাপগঞ্জের যোগাযোগ স্থাপন হবে।

রিহাব আহমদ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, সেতুর এক পাশে সংযোগ সড়ক না এলাকার মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘব হয়নি। সরকারের এতো টাকার সেতু কোন কাজেই আসছে না।

সিলেটের সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, শুনেছি প্রকল্পের শুরুতেই ভূমি অধিগ্রহণ করতে জটিলতা ছিল। এজন্য তৎকালীন সময় সড়ক সংযোগ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে এই সড়ক নির্মাণে কোন প্রকল্প বা বরাদ্দ আমাদের হাতে নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত