জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৭:০১

জৈন্তাপুরে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ওপর হামলা, মামলা দায়ের

সিলেটের জৈন্তাপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মুক্তিযোদ্ধাসহ দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শফাত হুসেন বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে প্রতিপক্ষের বিরোধ চলে আসছে। ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঘর মেরামত কাজের জন্য বসতবাড়ির পূর্ব পাশ থেকে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আলী আহমদের স্ত্রী কিছু মাটি কেটে নিয়ে আসায় প্রতিপক্ষের লোকজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারে প্রবেশ করে তাদের উপর হামলা চালায়।

হামলাকারীরা হলেন- খারুবিল গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মাহবুব হুসেন (৪০), জাকারিয়া (৩৮), কিবরিয়া (৩২), ইয়াহিয়া (২৮), নোমান (২২), একই গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে বশির আহমদ (৫৫) এবং বিরাইমারা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪৮)।

হামলাকারীরা জৈন্তাপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ছইদ আলী ও তার ছেলে আলী আহমদ উপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধাকে প্রাণে মারার লক্ষ্যে দেশিয় অস্ত্র শাবল সুলফি দিয়ে আঘাত করে। বাড়ির শিশু-মহিলাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের কবল থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা ছইদ আলী ও তার ছেলে আলী আহমদকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।

এদিকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনের অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

বর্তমানে আলী আহমদ কিছুটা সুস্থ হলেও মুক্তিযোদ্ধা ছইদ আলী এখন জ্ঞান ফিরে পাননি। অপরদিকে চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় (১১ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শফাত হুসেন বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগটি প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে এবং আহতরা চিকিৎসাধীন থাকায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলা হিসাবে রেকর্ড করে (যার নং-০৫, তারিখ: ১১-০২-২০২০)।

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানান জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা।

তারা বলেন, এই ধরনের হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পেলে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের পক্ষ থেকে তীব্র আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বনিক বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে তদন্তপূর্বক অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করেছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। আশা রাখি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত