সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ মার্চ, ২০২০ ১৬:৩১

দুর্নীতি ও লুটপাট করতেই দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি: সিলেট বিএনপি

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায়, জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশার কথা চিন্তা না করে অস্বাভাবিকভাবে বিদ্যুৎ ও ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধি সাধারণ জনগণের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা এর শামিল। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের আমলে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো।

সোমবার (২ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তারা আরও বলেন, 'যখন ইচ্ছা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারবে সরকার' এই স্বেচ্ছাচারী আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করিয়ে জনগণের ওপর ভয়াবহ জুলুম চালাচ্ছেন এই লুটেরা সরকার। সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়াই জনগণকে শোষণ করতে এবং সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের মুনাফা বৃদ্ধি করে পকেট ভারী করতেই হঠাৎ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশে বিরোধী মতে রাজনীতি বন্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে লুটপাট চালাতে পথের কাটা মনে করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজা প্রদান ও ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।

নগরীর সুরমা মার্কেট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা ও মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে নাসিম হোসাইন বলেন, বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে সাধারণ মানুষের। শিল্প মালিকদেরও ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা। দেশীয় শিল্পকারখানা ধ্বংস করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধের মাধ্যমে দেশকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত চলছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করুন। জনগণের দুঃখ অনুভব করুন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা হারাচ্ছে শত শত প্রতিষ্ঠান। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি দেশের শিল্পের শক্তি ধ্বংস করে দেবে। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। সেচ বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কৃষিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার সকল খরচ বেড়ে যাবে। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে। তাই এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় বিদ্যুৎ, ওয়াসার পানির দামবৃদ্ধিসহ গণবিরোধী সব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম সিদ্দিকী, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ, মহানগর সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, কাউন্সিলার রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক সামিয়া বেগম চৌধুরী, মহানগর সহ-সভাপতি সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, আলী হোসেন বাচ্চু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল আহমদ মোর্শেদ ও মাহবুব চৌধুরী, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাশেম ও শামীম আহমদ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম তারেক কালাম, মহানগর দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, জেলার সাবেক দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট মো. ফখরুল হক, মহানগর প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান, আতর আলী, জাকির মজুমদার, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি ইউনুস মিয়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপি, বিএনপি নেতা লল্লিক আহমদ চৌধুরী, আ ফ ম কামাল, আফজাল উদ্দিন, আল মামুন খান, বজলুর রহমান ফয়েজ, হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুল মালেক, আব্দুল লতিফ খান, আব্দুল মালেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শাহ মাহমুদ আলী, এনামুল হক মাক্কু, সিরাজুল ইসলাম, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, কয়েস আহমদ সাগর, চৌধুরী মো. সুহেল, ইসলাম উদ্দিন, ইলিয়াস মেম্বার, মনিরুল ইসলাম তুরণ, বদরুল ইসলাম আজাদ, দেলোয়ার হোসেন রানা, মাহবুব চেয়ারম্যান, এম মখলিছ খান, মকবুল আলী, আশরাফ আলম বাহার, ফখরুল আলম, জাহেদ আহমদ, জসিম উদ্দিন, মঈনুল হক স্বাধীন, রফিকুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহনেওয়াজ বখত তারেক, জেলা ও মহানগর যুবদল নেতা, মঈনুল ইসলাম মঞ্জু, আব্দুল্লাহ শফি শাহেদ, কয়েস আহমদ, ফখরুল ইসলাম রুমেল, উসমান গনি, রায়হান আহমদ, এহতেশামুল হক সবুজ, ইছহাক আহমদ, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক লিটন আহমদ, শ্রমিক দল নেতা মাসুক এলাহী, শাহ মুকিত মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ফয়সল আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাদিম, ছাত্রদল নেতা শিহাব খান, আব্দুল করিম জোনাক, আব্দুল হাসিব, এনামুল কবির সুহেল, জহুরুল ইসলাম রাসেল, মিনার হোসেন লিটন, হোসেন আহমদ, ফাহিম রহমান মৌসুম, আব্দুল মুমিম লস্কর, আলী আকবর রাজন, মাহবুবুল আলম সৌরভ, মুক্তার আহমদ মুক্তার, শাহীন আহমদ, হাসান আহমদ হোসাইন ও ইমন আহমদ প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত