মাধবপুর প্রতিনিধি

০৭ এপ্রিল, ২০২০ ২০:০৫

মাধবপুরে চাকুরি হারানোর ভয়ে কারখানায় যাচ্ছেন শ্রমিকরা

মাধবপুরে চালু রয়েছে অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা লকডাউনসহ সারা দেশে স্তব্ধ পরিবেশ বিরাজমান থাকলেও হবিগঞ্জের মাধবপুরের অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে সচল। সেজন্য চা বাগানসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত শ্রমিক প্রতিদিন গাদাগাদি করে কোম্পানির নিজস্ব বাস, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে কারখানাতে যাচ্ছেন।

এদিকে গত সোমবার (৭ এপ্রিল) মাধবপুরের পার্শ্ববর্তী চুনারুঘাটের পানছড়ি চা বাগানে এক শ্রমিক করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার খবরে পুরো উপজেলা জুড়ে করোনা আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে করোনা আতঙ্ক থাকলেও চাকরি হারানোর ভয়ে শ্রমিকরা কারখানায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার যমুনা ইন্ডাট্রিয়াল পার্ক, স্টার ফরসোলিন, বাংলাদেশ হার্ডল্যান্ড সিরামিকস, চারু সিরামিকস, আর কে কয়েল ফ্যাক্টরি, স্টার সিরামিক্স, পাইওনির ডেনিমস লি. এবং চৌমুহনীতে কোয়ালিটি ইন্টার এগ্রোসহ অধিকাংশ ফ্যাক্টরি থেকে ব্যবহার করে দলে দলে শ্রমিকদের প্রবেশ ও বের হতে দেখা যায়। এসব শ্রমিকরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য কেবলমাত্র মাস্ক ব্যবহার করছেন।

নাম প্রকাশ না করার সর্তে বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, মাধবপুরে স্থাপিত অধিকাংশ শিল্প কারখানায় শ্রমিক ইউনিয়ন নেই। শ্রমিকদের দাবী দাওয়া আদায়ের সুযোগ না থাকায় চাকুরী হারানোর ভয়ে অফিসারদের নির্দেশে কর্মে যোগ দিতে হচ্ছে। শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারই রয়েছে।

এ বিষয়ে স্টার ফরসোলিনের এডমিন ম্যানেজার সৈয়দ শাহাদত হোসেন জানান, এখনো প্রশাসনিক ভাবে কোম্পানি বন্ধের কোন নির্দেশনা পাইনি। তবে প্রতিটি শ্রমিকের পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান জানান, কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বল্প পরিসরে পরিচালানা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খোজ নিয়ে দেখা হবে, যদি নির্দেশনা অমান্য করে স্বাস্থ্য তথা করোনা ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের কাজ করতে হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত