নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:১৫

সিলেটে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আসছে ৫ অ্যাম্বুলেন্স

চিকিৎসকদের বহনে ২ গাড়ি

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে সিলেটে আক্রান্ত রোগীদের বহন করার জন্য আগামীকাল শুক্রবার আসছে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স। একই সাথে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের বহনে দেওয়া হয়েছে দুইটি গাড়ি।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর আহ্বানে এ উদ্যোগ নেয় জালালাবাদ এসোসিয়েশন। এদিন দুপুরে চিকিৎসকদের বহনে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেয়া একটি হাই-এইচ ও একটি নোহা গাড়ির চাবি সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্রের কাছে হস্তান্তর করা করেন মেয়র।

এ বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের বহনে পরিবহণের জন্য জালালাবাদ এসোসিয়েশনকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। তারা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও নোহা গাড়ি দিয়েছেন। এ দু’টি গাড়িতে করে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্ট সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের বহন করবে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঐচ্ছিক হিসেবে এই সহযোগিতা করেছি। এছাড়া করোনা রোগীদের বহনে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করেছি। আগামীকাল শুক্রবার হয়তো অ্যাম্বুলেন্সগুলোও হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরও সাপোর্ট দেওয়া হবে। তবে গাড়ি উপহার দেওয়াতে নগরবাসীর পক্ষ থেকে জালালাবাদ এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নগরবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা যদি বাচতে না পারি, তাহলে কিসের প্রয়োজন। আগামী কয়েকদিন আমরা কঠোরভাবে সরকার ঘোষিত নিয়ম পালন করি। ঘরে থাকি, নিজেদেরকে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখি। যেখানে রমজান মাসেও ঘরে নামাজ আদায় করতে বলা হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমাদেরকে আইন মেনে চলতে হবে। এই আইন আপনি নিজে বাঁচার জন্য, পরিবার-পরিজনদের বাঁচার জন্য। আপনি ঘর থেকে বের হয়ে গিয়ে পুরো পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলবেন।

সরকারি ত্রাণ সহায়তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে মেয়র বলেন, করোনাভাইরাস কতদিন থাকবে, তা একমাত্র আল্লাহ জানেন। আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রবাসীরা যে অর্থ দিয়েছেন। অনেকে চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। সেগুলো থেকে ইতোমধ্যে ৭৯ হাজার পরিবারকে সহযোগিতা দিয়েছি। কিছু ওয়ার্ড বাকি আছে, সেগুলোও অনুসন্ধান করে দিচ্ছি। তবে এটাতো শেষ নয়, আগামীতে আরও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। নিম্নবিত্ত ছাড়াও মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশেও দাঁড়াতে হবে। এটা দিয়ে কেবল শেষ নয়। তবে বিপদে সবাইকে সবুর করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত