
০১ অক্টোবর, ২০১৭ ২১:৪৪
বর্ষাকালে যে কটি ফুল প্রকৃতির শোভাবৃদ্ধি করে তার মধ্যে অন্যতম "পদ্ম"। তার সৌন্দর্য ভুবনজয়ী, তার খ্যাতি জগৎজোড়া। তাইতো জলজ ফুলের রাণী হিসেবেই পরিচিতি তার।
গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কি.মি দূরে অবস্থিত বলাকইড় পদ্মবিল। সেই ১৯৮৮ সাল থেকেই বর্ষার আগমণে নিজেকে সাজিয়ে নেয় অপরূপ শোভায়। সার বিলে ফুটে ওঠা পদ্মফুল ক্ষণিকের জন্য বিমোহিত করে ভ্রমণপিপাসুর হৃদয়।
বর্ষার শেষভাগে পর্যটকদের জন্য আদর্শ হতে পারে এই পদ্মবিল।
কিভাবে যাবেন :
ঢাকার গুলিস্তান বাস স্ট্যান্ড থেকে চেপে বসতে পারেন গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কিংবা মধুমতি বাসে। এক থেকে দেড়ঘন্টায় মাওয়া লঞ্চঘাটে পৌঁছে যাবেন। সেখান থেকে চড়তে হবে কাঠালবাড়ি অভিমুখী পরিবহণ লঞ্চে। ভাড়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না মোটেও, বাস কর্তৃপক্ষই সেটা পরিশোধ করে দেবে। শুধু বাসের টিকিটটা দেখালেই হলো। পদ্মার সৌন্দর্য দেখতে দেখতেই কখন সময় পেরিয়ে যাবে টেরই পাবেন না।
লঞ্চ থেকে নামলেই পাবেন সারি সারি বাস দাঁড়ানো, আগের বাসের সুপারভাইজারই আপনাকে নিয়ে যাবে নতুন বাসে। সেখান থেকে দুঘণ্টায় গোপালগঞ্জ। রাতটা গোপালগঞ্জেই কাটাতে হবে। কারণ পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে সকালের সময়টিই সবচেয়ে ভালো। দুপুরের দিকে ফুলগুলো ঝরে পড়তে শুরু করে।
রাতে থাকার জন্য গোপালগঞ্জ সদরে রয়েছে ভালো মানের অনেকগুলো হোটেল।
সকালে খুব ভরে উঠে নাস্তা সেরে রওয়ানা হতে হবে পদ্মবিলের উদ্দেশ্যে। এ যাত্রায় আপনার বাহন হবে ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক। ইজি বাইকে চড়ে আধাঘণ্টায় পৌছে যাওয়া যায় বলাকইড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে। স্কুলের সামনের ব্রিক সলিং রাস্তা দিয়ে পাঁচ মিনিটের পায়ে হাঁটা পথ মেম্বারবাড়ি নৌকার ঘাট। স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেই ঘাট অবধি পৌঁছে দেবে। সেখান থেকে নৌকা ভাড়া করে চলে যান বিলে। চারিদিকে সারি সারি ফুটে থাকা পদ্ম ফুলের দিকে তাকালে মনে হবে অন্য জগৎ।
ঘণ্টা দুয়েক ঘুরে ফিরে আসুন একই পথে, দুপুরবেলা বেদগ্রামে হাঁসের মাংস দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিতে পারেন।
বিলে ঘুরতে যাবার আগে ছাতা নিয়ে যেতে ভুলবেন না, যখন তখন বৃষ্টি এসে পড়লে ঘুরার আনন্দ কিছুটা ভাটা পড়ে যেতে পারে। আর ঘুরতে গেলে অবশ্যই পরিবেশের ব্যাপারটা মাথায় রাখা জরুরী, অপঁচনশীল জিনিশ যেমন-চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল ইত্যাদি যত্রতত্র ফেলে পরিবেশ দূষণ করবেন না।
আপনার মন্তব্য