১০ আগস্ট, ২০১৬ ১৭:৪৮
বেনাপোল স্থল বন্দরসহ বেনাপোলের নিন্মাঞ্চল বৃষ্টির পানির কারণে প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ছেয়ে গেছে বসত বাড়িসহ মাঠ-ঘাট।
বেনাপোল স্থল বন্দরে জায়গা সংকট ও টানা বর্ষণের ফলে বৃষ্টিতে ভিজে বন্দর গোডাউন ও খোলা আকাশের নিচে আমদানিকৃত কোটি কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় আমাদনীকারক এবং রফতানিকারকরা এ পথে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য করে থাকেন সর্বাধিক।
কিন্তু বিগত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে বেনাপোল বন্দর গোডাউনে পানি জমে আমদানিকৃত পণ্য পানিতে ভিজে মালামাল এর গুনগত মান নষ্ট হচ্ছে আর সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারকরা।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, আমরা সরকারকে রীতিমত আমদানি পণ্যের ন্যায্য ভাড়া দিয়ে ওয়্যারহাউজে পণ্য রাখি। কিন্তু সরকার এখান থেকে ভাড়া পেয়েও বন্দরের উন্নয়ন কাজ না করায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বারবার বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অবহিত করলেও কোন চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তারা। মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ব্যবসায়ীদের ঝুলিয়ে রেখেছে দীর্ঘদিন যাবত। এমন ভাবে চলতে থাকলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমদানিকারকরা। অবিলম্বে এর একটা সুরাহা হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
অন্য দিকে, বৃষ্টির পানি জমে গেছে বসত বাড়িতে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে শতশত মানুষজন। বেনাপোল পৌরসভার কাগজপুকুর, ভবারবেড়, ছোটআঁচড়া, বড় আঁচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, দূর্গাপুর সহ নিম্নাঞ্চল টানা বর্ষণের ফলে প্লাবিত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, বৃষ্টির পানি সঠিকভাবে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বসতবাড়ি সহ মাঠ-ঘাট ডুবে গেছে। এলাকার হাওড়গুলো কিছু সুবিধাবাদী লোকজন নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করায় পর্যাপ্ত পানি যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। তারা যে যার মত করে হাওড়গুলো দখল করে, উঁচু বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়ে ফেলেছে। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বৃষ্টির পানি চলাচলে। আর বৃষ্টির পানি চলাচল না করতে পেরে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চলগুলো। এ অবস্থায় হাওড়গুলো দখলমুক্ত করে কাটালে পানিতে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে তারা মনে করেন।
আপনার মন্তব্য